শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > নাটকীয় জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের

নাটকীয় জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ সহজ জয়ও হাতছাড়া করে দেওয়ার অপবাদ আছে দুটি দলেরই। পাকিস্তান ‘আনপ্রেডিক্টেবল’। আর ‘চোকার্স’ অপবাদটা দক্ষিণ আফ্রিকার। চাপের মুখে ভেঙে পড়ে এর আগেও অনেক ম্যাচেই জয় হাতছাড়া হয়েছে তাদের। ঠিক তেমনি কালও পাকিস্তানের বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই চাপের মুখে পড়ে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করল প্রোটিয়ারা। শুধু কি হার। সঙ্গে যে খোয়াতে হল ওয়ানডে সিরিজও।

হারের ব্যবধান কত জানেন?

-মাত্র ১ রানের।

আর নিশ্চিত হারা ম্যাচে এমন নাটকীয় জয়ে যেন ‘বিশ্বকাপ’ জেতার আনন্দে মাতে পুরো পাকিস্তান দল। কেনইবা মাতবে না? যেখানে সদ্য শেষ হওয়া আরব আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে মিসবাহদের। সেখানে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ জিতে নেওয়া। একেই বলে মধুর প্রতিশোধ!

কালকের ম্যাচটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বিশেষ কিছু। কারণ এটি ছিল প্রোটিয়াদের জন্য ৫০০তম ওয়ানডে। এমন ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা ৩৯ রানে ৬ উইকেট পেলেন পেসার ডেল স্টেইন। আবার দর্শকরা দেখল অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড নামে উদ্ভট এক আউট। যার শিকার পাকিস্তানি পেসার আনোয়ার আলি।

ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখার সব আয়োজনই তৈরি হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের। বৃষ্টির কারণে খেলার দৈর্ঘ্য কমে দাঁড়াল ৪৫ ওভারে। পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ২৬৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে হাশিম আমলা দ্বিতীয় উইকেটে ডি কককে নিয়ে ৮৭ আর অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের রাস্তায়ই রেখেছিলেন। কিন্তু ভিলিয়ার্স ৪৫ বলে ৭৪ আর আমলা ১৩১ বলে ৯৮ রানে আউট হতেই চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। হাতে ৫ উইকেট। অথচ চোকার্স অপবাদটা প্রমাণ করতেই কি না কে জানে-এ রান তারা তুলতে পারল না। অবশ্য পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানের অসাধারণ আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়েই এর জন্য দায়ী।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তান বেশ ভালোই করল, ৯ উইকেটে ২৬২ রান। আর এ স্কোর করা সম্ভব হয়েছে ওপেনার আহমেদ শেহজাদের কারণে। বেশিরভাগ ম্যাচেই ব্যর্থ হন পাকিস্তানি ওপেনাররা। এর মাঝে হঠাত্ সেঞ্চুরিও করে ফেলেন। কাল যেমন শেহজাদের হঠাত্ সেঞ্চুরিটা এলো স্টেইন-ঝড়ের মধ্যেও। ১১২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১০২ রান (ওয়ানডেতে তৃতীয় সেঞ্চুরি) করার পর রান আউট হয়ে যান শেহজাদ। ওদিকে উইকেট নেশায় মেতে ছিলেন স্টেইন। এর মধ্যেই উমর আকমল ৩০ বলে ৪২ রানের ইনিংসটি খেলে দলের রান আড়াইশ’ পার করান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান : ২৬২/১০, ৪৫ ওভার (শেহজাদ ১০২, মাকসুদ ৪২, উমর আকমল ৪২, বিলাওয়াল ২১, মিসবাহ ১২, আফ্রিদি ১১; স্টেইন ৬/৩৯)। দ. আফ্রিকা : ২৬১/৬, ৪৫ ওভার (আমলা ৯৮, কক ৪৭, ভিলিয়ার্স ৭৪, ডুমিনি ১৫; জুনায়েদ ৩/৪২, আফ্রিদি ২/৩৮)। ফল : পাকিস্তান ১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : আহমেদ শেহজাদ। সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-০ তে এগিয়ে।