বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ ঘটনাকে ‘প্ল্যানড অ্যামবুশ’ বলে শনাক্ত করেছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কথা বলে যেটা আমরা বুঝতে পেরেছি এটা প্ল্যানড অ্যামবুশ’ (পরিকল্পিত হামলা)। কাছ থেকে টার্গেট করেই গুলি করা হয়েছে। তবে এখনই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব না। আমরা সব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।’
রাঙ্গামাটি ত্রিপল মোড়ানো কাঠের স্তূপের পেছন থেকে নির্বাচন কর্মকর্তাদের গাড়িতে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আবু ফয়েজ, বাঘাইহাট জোনের মেজর আশরাফ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, চট্টগ্রাম-৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মো. নুরুল আমিন, সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় যাওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা জানিয়েছেন, পাহাড়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়, তার অধিকাংশই বিদেশি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। বাঘাইছড়ির কিলিং মিশনেও একই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বাঘাইছড়ির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের দেখছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা
গত সোমবার (১৮ মার্চ) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কাজ শেষ করে বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে ফেরার পথে নয়মাইল এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সাতজন। এ সময় আহত হন ১৬ জন। ঘটনার পর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এ ঘটনায় আহত এক পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে বুধবার (২০ মার্চ) রাতে বাঘাইছড়ি থানায় অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের নামে মামলা করেছেন।