স্পোর্টস ডেস্ক ॥
পাকিস্তান জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়া হলো না! গেল শনিবার পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেননি তিনি।
ওই দিন বিকাল ৪টায় করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনটি হওয়ার কথা ছিল। তাতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অধিনায়কেরা কতটা চাপের শিকার হন তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কথা ছিল তার। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও কনফারেন্স রুমে এ অধিনায়কের দেখা মেলেনি। পরেও তাকে প্রশ্নের কোনো সুযোগ পাননি গণমাধ্যমকর্মীরা।
জানা যায়, সশরীরের সংবাদ সম্মেলন না করে সরফরাজকে ধারণকৃত অডিওবার্তা পাঠানোর নির্দেশ দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিএসএলের চতুর্থ আসরে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাকে সামনাসামনি না পেয়ে হতাশ হন মিডিয়াকর্মীরা।
চাউর হয়েছে, সামনে বিশ্বকাপ। এজন্য সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খুব একটা খেলছেন না সরফরাজ। বাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও মাঝে মধ্যে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। পিসিবি বলছে, তাদের বিশ্রামে রাখা হচ্ছে। কিন্তু পিএসএল খেলে যাচ্ছেন সবাই।
প্রশ্নটা উঠেছে সেখানেই। ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটির চাপে কতটা বিশ্রাম পাচ্ছেন তিনি বা তার মতো অন্যরা। ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন দেশটির গণমাধ্যমে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে,সরফরাজকে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন করে বোর্ডকে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির শিকার করতে পারেন সাংবাদিকরা। সেটি এড়াতেই তাকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়নি বোর্ড!
তবে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স কোচ মঈন খানের দাবি, সরফরাজকে সংবাদ সম্মেলন করতে নিষেধ করেছে তার ফ্র্যাঞ্চাইজিই,পিসিবি নয়। বোর্ড থেকে তার ওপর কোনোরকম চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।
সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। তবু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে সরফরাজসহ ৬ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়েছে পিসিবি। বিশ্বকাপের আগে তাদের বিশ্রাম দেয়া নিয়ে উঠেছে অন্যরকম প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়ার মতো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তাহলে কী পিএসএলের ক্লান্তি সারতেই এ উদ্যোগ তাদের?