স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুরে জামায়াতের কালো পতাকা মিছিলে গুলি করেছে পুলিশ। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার সকালে মিরপুর দারুস সালাম রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পদত্যাগী মন্ত্রীদের নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এমন অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার ১৮ দল কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
পূর্ব ঘোর্ষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও আসাদ গেট এলাকায় কালো পতাকা মিছিল করছে জামায়াতে ইসলামী।
মিরপুরে মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মোবারক হোসাইন। এসময় মিছিলটি দারুস সালাম রোড এলাকায় এলে পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে গুলি বর্ষণ করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্তা আশঙ্কাজনক বলে জামায়াত সূত্র জানায়।
ফার্মগেট এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দেন তেজাগঁও ও শেরেবাংলা থানার আমীর, শিবিরের তেজগাঁও থানা ও স্কুল বিভাগের সভাপতিসহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ। মিছিলটি ফার্মগেইট থেকে শুরু হয়ে হলিক্রস দিয়ে তেজকুনীপাড়ায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উদ্যোগে নগরীতে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারীসহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
জামায়াতে ইসলামী রমনা থানা মগবাজারে কালো পতাকা মিছিল করেছে। সকাল ৯টায় মগবাজার চৌ-রাস্তা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রমনা থানা আমীর ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে মিছিলটি শুরু হয়ে ওয়্যারলেছে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের শিবির সভাপতি রাকিব মাহমুদ, থানা জামায়াতের সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী পূর্বের অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, রমনা থানা শিবির সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিন, খিলগাঁও থানা শিবির সভাপতি রায়হান উদ্দিন ও ছাত্রনেতা সাইয়েদ যোবায়ের প্রমুখ।
এদিকে আসাদ গেট এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। মিছিলটি ধানমন্ডি ২৭ নং থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আসাদ গেইটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সরকার মুখে সাংবিধানিক শাসনের কথা বললেও তারাই বেশী বেশী সংবিধান লংঘন করছে। তারা এখন পদত্যাগী মন্ত্রীদের দিয়ে জণগণের উপর দলন-পীড়ন চালিয়ে সাজোনো নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবতার মুখ দেখবে না বরং সংবিধান লংঘনের দায়ে একদিন তাদেরকে জনতার মুখোমুখী হতে হবে।
অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় জনতার উত্তাল তরঙ্গে জালিম ও ফ্যাসীবাদী সরকারকে খড়কুটার মতো ভেসে যেতে হবে।