আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
দুদিনের চীন সফরে বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে গেলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর কূটনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ সফরের পর চীন গেলেন তিনি।
এ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজের।
সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও রাসায়নিক পণ্য শিল্পের বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা ভেবেছিলেন, সৌদি যুবরাজের চীন সফরে আলোচনায় একটি বিষয় উঠে আসবে না বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনো আলাপ হবে না। সেটি হলো জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমানের ওপর চীনের নিপীড়ন।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমান এ নিপীড়নের ক্ষেত্রে চীনের নীতি সমর্থন করলেন।
সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ও চরমপন্থা নির্মূলীকরণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার চীনের রয়েছে।’
চীনের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সালমানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়েছে।
প্রসঙ্গত চীনে প্রায় ১০ লাখ (মতান্তরে ২০ লাখ) উইঘুর মুসলিম বন্দিশিবিরে আছেন।
সেখানে ভোকেশনাল ক্যাম্পের নামে লাখ লাখ মুসলমানকে আটকে রেখে নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
জাতিগতভাবে তুর্কি উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনের অভিযোগ, উইঘুররা তাদের জিনজিয়াং অঞ্চলে জঙ্গিবাদ সমর্থন করছে।
পশ্চিমা বিশ্ব এ নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তবে চীন সবসময় এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সৌদি যুবরাজের সফর উপলক্ষে উইঘুর তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, তিনি যেন এই বন্দিশিবিরগুলোর ব্যাপারে চীনকে চাপ দেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি বিপক্ষে কিছু না বললেও চীনের নীতি সমর্থনের কথা বললেন।