শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > কাপাসিয়ায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও কর্মসংস্থান’ বিষয়ক আলোচনা সভা

কাপাসিয়ায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও কর্মসংস্থান’ বিষয়ক আলোচনা সভা

শেয়ার করুন

আকরাম হোসেন রিপন
চীফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: শ্যামল বাংলা কৃষি ফার্ম লিমিটেডের আয়োজনে ‘পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত জৈব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও কর্মসংস্থান’ বিষয়ক আলোচনা সভা শনিবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ ইসমত আরা’র সভাপতিত্বে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা বেগমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের কমিশনার এনডিসি (সিনিয়র সচিব) সুরাইয়া বেগম। মুখ্য আলোচক ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহফুজুল কাদের।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, ঘাগটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সেলিম, কড়িহাতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মোড়ল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সিমিন হোসেন রিমি বলেন, সব ঔষধেই পাশর্^-প্রতিক্রিয়া থাকে কিন্তু জৈব সারে কোন পার্শর্¦ক্রিয়া নেই। জৈব সার ব্যবহারে মাটির গুনাগুন বৃদ্ধি করে। মাটির চাহিদা আমাদের বুঝতে হবে, মাটির জন্য কি প্রয়োজন, তা ঠিক মতো ব্যবহার করতে হবে। আমাদের চার পাশের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার তৈরী করে তা ফসল উৎপাদনে মাটিতে ব্যবহার করতে পারলে মাটির উর্বরতা বাড়বে এবং ফসলও ভালো হবে।
সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম বলেন, কাপাসিয়া বাজারের পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত জৈব সম্পদ যদি ‘শ্যামল বাংলা জৈব সার’র উৎপাদন হিসাবে ব্যবহার করা যায় তবে কাপাসিয়ার পরিবেশ উন্নয়ন এবং সার ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব সাধিত হতে পারে। রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ, মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। গ্রামের পরিবেশকে ঠিক রেখে যেন যার যার অবস্থান থেকে আমরা কাজ করি।
অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহফুজুল কাদের বলেন, ‘শ্যামল বাংলা জৈব সার’ রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের বিকল্প একটি কার্যকর ও লাভজনক । সরকার এবং কৃষক চাইলে ১০ বছরের মধ্যেই চাষাবাদে রাসায়নিক ও বালাইনাশকের উপর থেকে নির্ভরতা সম্পূর্ণ পরিহার করা সম্ভব।