পোপ ও গ্র্যান্ড ইমামের চুম্বনের দৃশ্য ভাইরাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে ভ্রাতৃত্ব ও সম্মিলনের অঙ্গীকার করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সফরের অংশ হিসেবে সোমবার মিসরের ঐতিহাসিক আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমামের(শাইখুল আজহার) সঙ্গে এক ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ইতি টানার তাগিদ দেওয়া হয় এতে।

যৌথ বিবৃতির নথিটির নাম দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ, নির্যাতন ও অবিচারের শিকার এবং যারা বিশ্বের কোনও প্রান্তে অত্যাচারের শিকার তাদের জন্য।

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের পর দুই নেতার চুম্বনের দৃশ্য ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, আমরা ঘোষণা করছি, কোনও ধর্ম কখনওই যুদ্ধ, ঘৃণার মনোভাব, শত্রুতা ও চরমপন্থায় যাবে না। হিংসা ও রক্তপাত ঘটে এমন কোনও কাজও করবে না।

পশ্চিম এশিয়ার সব মুসলিমদের উদ্দেশে মিসরের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে। তাদেরও সে দেশে থাকার পূর্ণ অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসও পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তির রাস্তা গড়ে তুলতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে চলতে হবে।

পোপ ফ্রান্সিস ৪০ ঘণ্টার সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত গিয়েছিলেন । বিরাট আড়ম্বরের সঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানান আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

মঙ্গলবার আমিরাতে এক লাখ ২০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে পোপের। এই ভাষণে ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে তিনি কী বলেন সে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
232425262728  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫