বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় বিভিন্ন বিভাগে দমকা হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড় ধসও হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আরিফ হোসেন আরটিভি অনলাইন বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হবে। ভারী বর্ষণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ফেনিতে। যার পরিমাণ ছিল ১১০ মিলিমিটার। সর্বনিম্ন রাজশাহীতে ৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিম ঝাড়খণ্ড এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর প্রদেশে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিরাজমান রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তার রয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এদিকে আজ ঢাকায় দুপুর পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার।
বৃষ্টিপাতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। নগরের অলি-গলি থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে জলজট তৈরি হয়েছে। জলজট নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। বাড়াচ্ছে যানজট। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রজাপতি গুহা থেকে শুরু করে ফার্মগেটের ডেইলি স্টার সেন্টার পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে পাশের দোকানগুলোতেও পানি গিয়ে ঢুকছে। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। সূত্র: RTV