নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী: পলাশে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রেমিকা নিহতের ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ—৩ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এই আদেশ দেন।
নিহত রিতা বেগম (৩৩) কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কবির মিয়ার কন্যা এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর (২৫) একই জেলার পাকুন্দিয়া এলাকার উসমান গনির পুত্র। রিতা পলাশ উপজেলার তাঁরাগও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন এবং জাহাঙ্গীর ঢাকার কেরানিগঞ্জে কাজ করতো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত রিতা বেগম পলাশ উপজেলার তারাগাঁও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই জেলার হবার কারণে ৩৩ বছরের রিতা সাথে ২৫ বছরের জাহাঙ্গীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তাদের দুজনের প্রায়ই দেখা হতো। ২০২২ সালে ০৬ অক্টোবর রিতার সাথে দেখা করতে ব্র্যাক অফিসের আসেন জাহাঙ্গীর। অফিস বন্ধের দিন সারারাত অফিসে গোপন সময় কাটায়। রাত্রি যাপনের পর সকালে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করার কথা বললে অফিসের গেস্ট রুমে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর। পরে রিতাকে স্থানীয় পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় নিহতের ভাই রাজুমিয়া বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্ররণ করে।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ৭ কার্যদিবসে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।