তাওহীদ হোসেন
কাপাসিয়া প্রতিনিধি
কাপাসিয়া (গাজীপুর): গাজীপুর জেলা তথা সারা দেশের অন্যতম একটি উপজেলা কাপাসিয়া। স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য আসম হান্নান শাহ’র জন্ম এই কাপাসিয়ায়। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সারা দেশে অন্যন্য কাপাসিয়া। আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কাপাসিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেই বেশ জমে উঠেছে এবারের নির্বাচন। নির্বানে প্রতিদ্বন্দ্বী ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থীই প্রথম বারের মত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে প্রতিক বরাদ্দ। প্রতীক পেয়েই ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
বর্তমান চেয়ারম্যান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি এ্যাড. মোঃ আমানত হোসেন খান (মোটর সাইকেল) ২য় বারের মত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। চারদলীয় ঐক্যজোট সরকারের সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। গত নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সফল সভাপতি, বর্তমানে উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব উদ্দিন আহমদ সেলিম (আনারস) প্রথম বারের মত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য।
মহিলা ভাইস—চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন করছেন বর্তমান নারী ভাইস—চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রওশন আরা সরকার (কলস)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মহিলা ভাইস—চেয়ারম্যান পদে রওশন আরা সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা শামিমা নাসরিন শিখা (ফুটবল)। অল্পদিনেই সারা ফেলে দিয়েছেন তরুন এই নেত্রী।
এদিকে বেশ জমে উঠেছে ভাইস—চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন। ভাইস—চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৪ জন।
হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব (টিয়াপাখি), ইমান উল্লাহ শেখ ইমু (তালা), সৈয়দ মোঃ মজিবুর রহমান (উড়োজাহাজ) ও মোঃ আফসার উদ্দিন আহমদ (টিউবওয়েল)।
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় হয়ে ছিলেন। তিনি উপজেলা প্রতিটি জানাযায় অংশগ্রহণ করেন ও প্রতিবছর মৃত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন।
সততা ও দক্ষতা দিয়ে ইমান উল্লাহ শেখ ইমু বঙ্গতাজ কন্যার বিশ্বস্ত একজন কর্মী হিসেবে উপজেলা আওয়ামিলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সংগঠিত করে নিজের দক্ষতার প্রমান দিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মজিবুর রহমান। প্রতিক পেয়েই ব্যাপক প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলাব্যাপি ব্যাপক গ্রচারণা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। ছুটে চলেছেন গ্রাম থেকে গ্রামে। ইতি মধ্যে বেশ সারা ফেলেছেন তরুন এ প্রার্থী।