অনলাইন ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও আয় করার পদ্ধতি


এম এস হাবিবুর রহমান:
বিশ্বায়নের এই যুগে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র বিদ্যমান। বাংলাদেশেও এর ব্যবহার ব্যাপক ভাবে বিস্তৃতি লাভ করছে। একথা অনস্বীকার্য যে প্রযুক্তি ছাড়া গোটা পৃথিবীই আজ অচল। গবেষণা থেকে শুরু করে, ব্যবসা, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসাসহ ঘরে—বাইরে, মহাকাশে, মহাসমুদ্রে সকল ক্ষেত্রেই আজ প্রযুক্তির ছোঁয়া। আর গতিশীল জীবন মানেই সেখানে থাকছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। তথ্য—প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমরা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছি। আমরা অনেকেই বিশ্বগ্রাম কথাটির সঙ্গে পরিচিত। একটি গ্রামে যেমন সবাই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তেমনি তথ্য—প্রযুক্তি বিশ্বের সব মানুষকে সংযুক্ত করে রেখেছে। তারা প্রতিনিয়ত একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সার্বিক জীবনব্যবস্থায় নানামুখী প্রভাব ফেলছে। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের প্রভাবই রয়েছে। এখানে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হচ্ছে অনলাইন বিজনেস/ ই—কমার্স বিজনেস, যাকে অন্য ভাবে বলে ইলেক্ট্রনিক কমার্স যা কিনা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। বর্তমানে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত সময়ে পণ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ই—কমার্স অনেক জোরালো ভূমিকা রেখেই চলেছে। তাই এই সম্ভাবনা কে কাজে লাগানোর একটা প্রয়াস হিসেবে এই উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে যার মুল উদ্দেশ্য শুধুই ব্যবসা করা নয় বরং একটা সার্ভিস চালু করা এবং তাঁর সাথে একটা সুপরিচিত ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। আর সেই লক্ষ্যেই এই বিজনেস প্লানটা প্রণয়ন করা হচ্ছে প্রাথমিক ধারণা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাপার গুলোকে তুলে আনা যাতে একটা পরিপূর্ণ বিজনেস মডেল থাকবে।
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য : নতুন পুরাতন অনেক ব্যবসায়ীই এখন অনলাইনে বিক্রিকেই তাদের ব্যবসার পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। তাদের সামনে খোলা আছে অনেক পথ। কোনটি বেছে নিবেন সেটা নির্ভর করে তাদের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য, ব্যবসার প্রকৃতি, ব্যবসার আকার এই রকম অনেক কিছুর উপরে। আর চরম যান্ত্রিকতা এবং অস্বাভাবিক ট্রাফিক জ্যাম আমাদের নাগরিক জীবনটাকে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যার থেকে আশু মুক্তি কামনা করা যাচ্ছেনা। তাই মানুষের জীবন যাপনের বেশির ভাগ সময় ঘরের বাহিরে কাটাতে হচ্ছে। মুল্যবান সময় নষ্টের কারণে মানুষ তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকান্ডের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেনা। যার ফলে ঘরে বসে অথবা অফিসে বসেই বাজার সদাই কিংবা গিফট অথবা প্রয়োজনীয় টিকেট বুকিং ইত্যাদি সেরে নিতে চায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
আমরা আরো গভীরে যাওয়ার আগে যে বিষয়েগুলোতে আলোকপাত করবো তা হচ্ছে নিম্নরূপঃ
 আমাদের এই ব্যবসার টার্গেট কাস্টমার কারা?
 আমাদের পণ্যের ব্যবস্থা কিভাবে হচ্ছে?
 কোম্পানির কাছ থেকে আপনার পর্যন্ত কিভাবে প্রোডাক্ট পৌছাবে?
 কোম্পানির পদ্ধতিতে না গেলে সেই ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট কাস্টমারের দোরগোড়ায় পৌছাবে কি করে?
 আপনার ডিস্টি্রবিউশন সিস্টেম কোন পদ্ধতিতে হবে ও কাস্টমার সাপোর্ট কিভাবে দিবেন?
 পেমেন্ট সিস্টেম কি কি হবে কাজ করবে?
 যারা ইনভেস্টর তারা কি পরিমাণ ইনভেস্ট করবে, এবং কতদিন পর্যন্ত করবে?
 ইনভেস্টমেন্টের রিটার্ণ কিভাবে হবে?
 একটা অনলাইন স্টোরের ওয়েবসাইট তৈরী এবং পরবর্তী মেইন্টেনেন্স এর চ্যালেঞ্জ কি কি হতে পারে।
 পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কত দিন চলবে।
 অ্যাফিলিয়েট বা কমিশন ভিত্তিক সেল করবেন কি না।
ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল ও ফিচার সমূহ :
১. ওয়েবসাইটা ওপেন সোর্স টেকনোলজি দিয়ে তৈরী করতে হবে যাতে যে কোন প্রকার কাস্টমাইজেশন করা যায়।
২. কাস্টমার রেজিস্টে্রশন ও লগিন ।
৩. ভেন্ডর / সাপ্লায়ার লগিন ও রেজিস্টে্রশন।
৪. অ্যাফিলিয়েট রেজিষ্টেশন ও লগিন ।
৫. প্রোডাক্ট ডিসপ্লে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজাতে হবে।
৬. ইঁু বাটন দিয়ে কোন পছন্দের পণ্য কেনার সুবিধা নিশ্চিত করা থাকতে হবে।
৭. পেমেন্ট সিস্টেম ( বিকাশ/রকেট পেমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড, ভিসা, মাস্টারকার্ড, ডেবিট কার্ড, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন, ক্যাশ অন ডেলিভারী সিস্টেম) রাখতে হবে।
৮. ফিচার্ড প্রোডাক্ট সেকশন। (অন পেমেন্ট এই সেকশন কাজ করবে)।
৯. কেউ যদি বিশেষ ভাবে তাঁর পণ্যের জন্যে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে আলাদা পেইজ চায় তবে সেটা আলাদা চার্জ দিয়ে করে দেয়া যাবে এমন ব্যবস্থা রাখলে ভালো হবে।
১০. বেশি বিক্রিত সেকশন (যে সব প্রোডাক্ট অনেক বেশি সেল হয়েছে সেগুলো এখানে দেখাবে অটোমেটিক) রাখা।
১১. সাইটের নিজস্ব ক্যাশ কার্ড সার্ভিস চালু করা যেতে পারে (এই ফিচার দিয়ে চাইলে যে কেউ যে কোন পণ্য ক্রয়ে করতে পারবে ওয়েবসাইট থেকে, এর জন্যে ফ্লেক্সিলোডের মত আগেই টাকা ভরে নিতে হবে)।
১২. ২৪ / ৭ দিন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার রাখতে হবে সেটা ফোন সাপোর্ট ও হতে পারে।
১৩. ক্লাসিফাইড এড সেকশন থাকবে যেখানে (বাসা ভাড়া, কার, রেন্ট, টিউশনি) ইত্যাদি পোস্ট করতে পারবে বিনা মুল্যে।
১৪. কিছু পণ্য এর ক্ষেত্রে ডিস্কাউন্ট অফার সময় সময়ে চালু রাখা যেটা তে মানুষ সহজে আকৃষ্ট বোধ করবে যা বাহিরের অনেক সাইটে প্রায়ই থাকে। যার ফলে তাদের সেল ও অনেক বেশি হয়। এর ফলে যেসব প্রোডাক্টে বিশেষ কোন অফার নেই সেসব পণ্য ও সেল হয়ে যাবে।
১৫. যে সকল বিক্রেতা এই সাইটে তাদের প্রোডাক্ট দিবে তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যেমন তাদের পণ্য বেশি দিন দেখানো ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
১৬. বিশেষ কিছু ক্যাম্পেইন চালু করা যাতে মানুষ এর মধ্যে নতুনত্ব খুঁজে পায়।
১৭. ভালো এবং কার্যকরী সার্চ সিস্টেম রাখা যাতে ক্যাটাগরি তে না গিয়েও যে কোন পণ্য সার্চ দিয়েপাওয়া যাবে।
১৮. প্রতিটা অর্ডার এর সাথে সাথে একটা কনফার্মেশন এস এম এস যাবে যে কিনেছে এবং যার প্রোডাক্ট সেল হয়েছে তাঁর কাছে।
১৯. প্রোডাক্ট দ্রুত পৌছে দেয়ার জন্যে কুরিয়ার সার্ভিস এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে পৌছে দেয়ার মুল্য প্রযোজ্য হবে পণ্যের মুল্যের সাথে যদি ঢাকার বাহিরে হয়। ঢাকার ভিতরে হলে কোন পৌছে দেয়ার মুল্য না নেয়াই হবে এক ধরনের মার্কেটিং। তবে এই মুল্য টা প্রোডাক্ট এর ভিতরে থাকবে লুকানো অবস্থায়েতাই কাস্টমার এর বুঝার কোন উপায় থাকবেনা।
২০. বায়ার এবং সেলার এর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যে কিছু নীতিমালা প্রয়োজন হবে যাতে কেউই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় কোন ভাবেই।
২১. আপনি (সাইটের মালিক) যদি নিজে থেকে প্রোডাক্ট সেল করে সেই ক্ষেত্রে একটা স্টোর লাগবে যেখান থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারী হবে। সেই ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট এর ডেলিভারী সময়টাও সেভাবে বলে দিতে হবে সিস্টেম থেকে। একের অধিক ডেলিভারী পয়েন্ট এর প্রয়োজন পড়বে যখন ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে।
২২. বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর জন্যে কিছু রিসার্চ এবং সার্ভে সম্পন্ন করা যা পরবর্তীতে সাহায্য করবে নতুন পণ্য সাইটে যোগ করে ব্যবসা বৃদ্ধি করতে।

বিজনেস এর সুযোগ সমুহ :
 তিন ধরণের মেম্বারশীপ এর সিস্টেম রাখাঃ ১। সিলভার মেম্বার ২। গোল্ড মেম্বার ৩। প্লাটিনাম মেম্বার। এখানে সিলভার মেম্বার (ফ্রি মেম্বারশীপ)এর প্রোডাক্ট ৭দিনের বেশী দেখাবে না, যদি সে গোল্ড মেম্বার হয় সেই ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ১ মাস তাঁর প্রোডাক্ট ওয়েবসাইটে দেখাতে পারবে আর প্লাটিনাম মেম্বার হলে ৬ মাস বা ১ বছর তার প্রোডাক্ট ওয়েবসাইটে দেখোবে। এই গোল্ড ও প্লাটিনাম মেম্বারশীপ টা আয়ের একটা বড় উৎস।
 বিভিন্ন এডস (হোম পেইজ এবং ভিতরের পেইজে) এর মাধ্যমে আয় আসবে। যেহেতু এটা টাকা দিয়ে কিনতে হবেই। মাঝে মধ্যে এই এডস সেকশনেও ডিস্কাউন্ট এর ব্যবস্থা থাকলে অনেকে আগ্রহী হবে এডস দিতে। গুগোল এডস দিয়েও আয় আসবে। কিছু এডস স্পেস থাকবে ওয়েবসাইটের ডান বা বাম দিকে সেগুলো ব্যানার এড হিসেবে সেল করলে মাসিক একটা বড় অঙ্কের আয় আসবে এখান থেকে।
 ফিচার্ড পেইজ এর জন্যে আলাদা চার্জ প্রযোজ্য হবে এবং এটাও আয়ের একটা বড় উৎস।
 প্রোডাক্ট সেল থেকেও একটা বড় অঙ্কের আয় আসবে।
 অ্যাফিলিয়েট দিয়েও আয় আসবে।
ইনভেস্টমেন্ট প্লান খাত ওয়ারী (আনুমানিক ধারণা)—
১. ফুল ফাংশনাল ওয়েবসাইট বানাতে খরচঃ কমপক্ষে ৭৫,০০০/— — ২,০০,০০০/— লক্ষ টাকা যেহেতু এই টা ই—কমার্স সাইট অনেক কিছুই একটু জটিল এবং সাইজে অনেক বড়। (এককালিন)
২. কোম্পানী হিসেবে ট্রেড লাইসেন্সঃ ১,৫০০/— — ৫,০০০/— টাকা।
৩. কোম্পানি হিসেবে রেজিঃ করে নিতে পারেন। যদি ইনভেস্ট বেশি হয়।
৪. অফিস ভাড়াঃ মাসিক ৭,০০০/— — ১০,০০০/— টাকা (২০০—৩০০ বর্গফুটের) এবং এর সাথে দুই মাসের এডভান্স ভাড়া অনুযায়ী।
৫. প্রোমশন ম্যাটেরিয়ালঃ ৩০,০০০/— — ৫০,০০০/— টাকা (লিফলেট, স্টিকার, কাপড়ের ব্যনার, প্যানা ব্যানার)
৬. এলাকা অনুযায়ী ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এ বিজ্ঞাপন এর ব্যবস্থাঃ টোটাল বাজেট ৫০,০০০/— টাকা
৭. অফিস স্টেশনারী (অফিস প্যাড, মানি রিসিট, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি): ৮,০০০/— — ১০,০০০/— টাকা।
৮. পত্রিকায় বিজ্ঞাপনঃ ১০,০০০/— — ৫০,০০০/— টাকা।
৯. এস এম এস প্রোমোশন (১০,০০০ এস এম এস এর জন্যে খরচ)— ৭,৫০০/— টাকা।
১০. জনবলঃ (আনুমানিক ধারণা)
ক. অফিস এডমিনিস্টে্রটর— ১ জন => বেতনঃ ১২,০০০/— টাকা (আনুমানিক)
খ. ওয়েব প্রোগ্রামার— ১ জন => বেতনঃ ১৫,০০০/— টাকা (আনুমানিক)
গ. গ্রাফিক্স ডিাজাইনার— ১ জন => বেতনঃ ১২,০০০/— টাকা ( আনুমানিক)
ঘ. মার্কেটিং / সেলস ম্যান— ২ জন => বেতনঃ ৮০০০/— টাকা প্রত্যেকের (প্লাস সেলস বোনাস/ কমিশন)
ঙ. ডেলিভারী ম্যানঃ ২ জন (প্রাথমিক) => বেতনঃ ৬০০০/— টাকা প্রত্যেকের
১০. অন্যান্য খরচঃ মাসিক ভিত্তিতে—> ১০,০০০ টাকা (আনুমানিক)
মাসিক খরচ সমূহঃ
১.বেতন ভাতাঃ ৬৭,০০০/— টাকা মাসিক
২.অফিস ভাড়াঃ ১০,০০০/— টাকা মাসিক
৩.বিদ্যুৎ বিলঃ ১১০০—১৫০০ টাকা মাসিক
৪. অন্যান্য খরচঃ ১,০০০০/— — ১৫,০০০/— টাকা
৫. প্রমোশন খরচঃ ৩০,০০০/— টাকা মাসিক ভিত্তিতে।
মার্কেটিং প্লানঃ
১. লিফলেট বিতরণ করা এলাকা অনুযায়ী।
২. স্টিকার লাগানো।
৩. একটা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের আত্মপ্রকাশ এর খবর প্রচার করা।
৪. পরিচিত জনদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বন্ধু—বান্ধবকে জানানো।
৫. বিশেষ উৎসব উপলক্ষে ছাড় এবং ডিস্কাউন্ট প্রোডাক্ট ক্রয়ের ব্যবস্থা রাখা সব সময়।
৬. সম্ভব হলে বিল বোর্ড এ বিজ্ঞাপন দেয়া। ই—মেইল মার্কেটিং ও এস এম এস মার্কেটিং করা।
৭. কিছু সি এস আর সার্ভিস দেয়া (যেমনঃ শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের সাহায্য, দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা বা বাসস্থান এর জন্যে কিছু অনুদান দেয়া সামর্থ্য অনুযায়ী) এতে প্রচার হয় এক ধরণের যা সবাই করতে পারেনা বা সে ধরনের মন—মানসিকতা রাখেনা।
৮. অন্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেয়া যেখানে ভিজিটর বেশী।
৯. অনলাইন রেডিও, এফ এম রেডিও, টিভিতে বিজ্ঞাপণ এর ব্যবস্থা সামর্থ্য অনুযায়ী ।
১০. সম্ভব হলে জরিপ পরিচালনা করে সেই অনুযায়ি মার্কেটিং করা।
১১. আর্টিক্যাল রাইটিং/ ব্লগ রাইটিং।
১২. সোসাল মিডিয়াতে প্রচারনা বৃদ্ধি করা। যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইন্ট্রাগ্রাম, লিংকইন্ড ইত্যাদি।
ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন পরিকল্পনা এবং বিবিধঃ
১. কমপক্ষে ৩—৫ বছর লাগবে এই বিনিয়োগ করা টাকা উঠে আসতে।
২. যারা ইনভেস্ট করবে তারা প্রথম ৬ মাস থেকে ১ বছর কোন লাভ / আয় তুলতে পারবে না যদি তাদের ইনভেস্ট এর পরিমাণ কম হয়। কোম্পানীর উপার্জন থেকে অর্জিত আয় আবার বিনিয়োগ করা হবে এবং এতে কোম্পানীর বিনিয়োগ এর পরিমাণ বাড়বে এবং সেই ভাবে এর রিটার্ণ টাও নিশ্চিত হবে।
৩. এক বছর পর থেকে কোম্পানী তাঁর বিনিয়োগকারীদের মাসিক একটা সম্মানী দিবে পাশাপাশি বছর শেষে অর্জিত আয় থেকে লভ্যাংশ প্রদান করবে প্রত্যেকের বিনিয়োগ করা টাকা অনুযায়ী
৪.যে কোন শেয়ার হোল্ডার তাঁর লভ্যাংশের অর্থ আবার বিনিয়োগ করতে পারবে এবং সেই ক্ষেত্রে তাঁর শেয়ার এর পরিমাণ এবং মুল্য ঐ সময়কার বাজার মুল্য, কোম্পানীর সম্পদ, ব্যবসায়িক ইমেজ, মার্কেট শেয়ার দিয়ে বিবেচ্য হতে হবে।
৫. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী হলে সর্বোচ্চ ৫০ জন মালিক হতে পারবে। আর পার্টনারশীপ / প্রোপাইটরশীপ হলে নিজেদের মধ্যে একটা চুক্তি করে নিতে হবে একজন দক্ষ উকিল কে দিয়ে ৩০০/— টাকার স্ট্যাম্পে।
লেখক: এম এস হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সমাহার ডট নেট লিমিটেড। ই—মেইল: হরৎধঢ়ড়ফসং@মসধরষ.পড়স, মোবাইল: ০১৭১১১১৩৮৫২, প্রধান কার্যালয়: উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর — ১৭৩০

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫