বিনোদন ডেস্ক ॥
‘এই বছর আর গান-বাজনার অনুষ্ঠান হবে বলে মনে হয় না। কারও ড্রাইভারের প্রয়োজন হলে জানাবেন’- এভাবেই ঘোষণা দিয়ে কাজ চাইলেন কি-বোর্ড প্লেয়ার বাবুল মুখোপাধ্যায়। বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন কোটি কোটি মানুষ। শোবিজেও এসেছে স্থবিরতা। বন্ধ রয়েছে শুটিং, গান বাজনা। এমন সময়ে কি-বোর্ড প্লেয়ার বাবুল সোশ্যাল সাইটে ড্রাইভারের চাকরি চাইলেন।
অনেকেই যা মুখ ফুটে বলতে পারেননি বাবুল তা অকপটেই লিখেছেন। মেনে নিয়েছেন জীবনের ঘোর সত্যিটা।
ভাইরাস করোনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একজনের সঙ্গে অন্যজনের ছ’ফুট দুরত্ব বজায় রেখে গানের জলসা করা কঅসম্ভব। তাই গানের ভুবনে বেকারত্ব বাড়ছে।
বাবুল জানান, ‘নিয়ম হয়েছে একটা অডিটোরিয়ামে ৩০ জন দর্শককে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। তাতে শিল্পীকে সাম্মানিক দিয়ে আর আমাদের পারিশ্রমিক দেওয়া সম্ভব হবে না। বাধ্য হয়েই কাজ কমে গেছে।’
ক্যালকাটা কোয়ারের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে গান বাজনার জগতে। কল্যাণ সেন বরাট থেকে শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অথবা শ্রীকান্ত আচার্যের মতো খ্যাতনামা শিল্পীদের সঙ্গে বাবুল পারকাশন, কি-বোর্ড বাজিয়েছেন। আজ তিনি কর্মহীন।
গায়কদের খবর তো সবাই রাখেন। কিন্তু পাশে যারা সঙ্গত করেন, গানের মহাকাব্যে তবলচি, কি-বোর্ড প্লেয়ার, পারকাশনিস্ট তারা চিরকালই উপেক্ষিত। বেশ কয়েকবছর আগে কবীর সুমনের ‘সহশিল্পীরা এসো’ সে কথাই বলেছিল। আজ করোনা এসে আরও একবার বুঝিয়ে দিল দিন বদলায়নি।
বেলেঘাটা সিআইটি রোডের বাসিন্দা বাবুল বলছেন, ‘ ফেব্রুয়ারিতেও ঢাকায় অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলাম। গায়কদের সঙ্গে নানকাসা, স্লিট ড্রাম বাজাই। এটাই আমার মতো শিল্পীদের উপার্জনের মাধ্যম। এখন তো আর অনুষ্ঠান হবে না। তাই ড্রাইভারি করেই দিন চালাতে হবে।’
অনেকেই এই সময়ে গাড়ি পাচ্ছেন না। বাসে ভিড়ের ভয়ে পৌঁছতে পারছেন না গন্তব্যে। বাবুল বলছেন, ‘আমায় ফোন করলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেব। তাতে যদি দিন গুজরান হয়, মন্দ কী?’