বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রীর নিজ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
রোববার যুব মৈত্রী ও ছাত্র মৈত্রীর যৌথ উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার প্রস্তুত কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় অবস্থিত ওয়ার্কার্স পার্টির ‘পার্টি স্কুল’ কার্যালয়ে দুপুরে স্কাইপের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেনন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মেনন বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার ৩ মাস নষ্ট হয়েছে, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে দেশে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরীক্ষাগার ছাড়া সরকার আর কোথাও এই ভাইরাস শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এর ফলে ঢাকাতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে ব্যস্ত হলেও লোক মারা গেছে সিলেটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে সেখানে এখনও আমরা কিট আনার কথা বলছি। স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো প্রতিরোধমূলক পোশাক না থাকায় তারা এমনই আতংকিত যে, সাধারণ রোগীরাও সেবা পাচ্ছে না। সেই পোশাক এখনও আনা হচ্ছে, এই আনা কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কেন তাদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে না, তা বোধগোম্য নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেবল জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবহারে জনগণ হতাশই নয়, বিরক্তও।
মেনন বলেন, দেশের অবস্থা লকডাউনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমাদের দেশে যারা দিন আনে দিন খায়, সেই শ্রমজীবী মানুষদের কী অবস্থা হবে? শিল্প শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের কী হবে?
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের খাদ্য ও ঔষধপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্য কর্মীদের বেতনের আশি ভাগ সরকার বহন করবে বলছে। সেখানে আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি এবং এই সক্ষমতাও আমাদের আছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে।
মেনন বলেন, সরকারের সব অংশকে এই যুদ্ধে নিয়োজিত করতে হবে। কেবল তাই নয়, করোনা মহামারির এই জনযুদ্ধ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে চীন ও কিউবার সাহায্যের জন্য আহ্বান জানান।