স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: কাশিমপুর করাগারে যুদ্ধাপরাধী মামলার এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ তিনি বন্দি ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৭) ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার নাওমহন এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো: বাহারুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান মিন্টু সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কারাগারের ভেতর বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমান মিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। তার হাজতি নং ৩৫৫৫/২০১৫। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অপরদিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ঢাকার সাভার থানায় হত্যা মামলায় এক হাজতি হতাশায় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। শনিবার কারাগারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। হত্যা মামলার আসামি আহত মোহাম্মদ হোসেন (৩১) ঢাকার সাভার থানার জামসিংহ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে সে ব্লেড দিয়ে তার গলা কেটে জখম করেছিলেন। ধারনা করা হচ্ছে নানা হতাশায় তিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের ডেপুটি জেলার দেলোয়ার পারভেজ জানান, মোহাম্মদ হোসেন একটি হত্যা মামলায় প্রায় ছয় মাস ধরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দি আছে। তার পরিবারের কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে আসে না। এর আগে মোহাম্মদ হোসেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বন্দি ছিলেন। ওই সময় তিনি তার গলা ব্লেড দিয়ে কেটে জখম করেন। এরপর তাকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মোহাম্মদ হোসেন কারাগারের ভেতর ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গ প্রায় ৫০ ভাগ কেটে ফেলেন। এসময় তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মোহাম্মদ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার হাজতি নং ৫০৬২/১৯। তিনি নানা হতাশায় এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।