বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সেতুর খুঁটির নিচ ও এর আশপাশে বালু তুলে ফেলা এবং নতুন সেতু করার পর পুরোনো সেতু ফেলে রাখায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত বর্তমান সরকারের ২৫তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী (একনেক) সভায় এই বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিটি একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আজকের একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কাগজের প্রতিবেদনে মাঝে মাঝে দেখা যায়, পুলের খুঁটির নিচের বালু উঠিয়ে ফেলে ব্যবসায়ীরা। এগুলো নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুধু খুঁটির নিচে নয়, খুঁটির আশপাশে কোনো বালু উত্তোলন হবে না- প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পিলারের আশপাশের বালুও একদম তোলা যাবে না।’
পুরোনো সেতুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে প্ররিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ব্রিজ বানাও। আগের ব্রিজ পরে থাকে বছরের পর বছর। ওগুলো কাজে লাগাও অথবা বিক্রি করে দাও। যাই দাম পাওয়া যায়, অকশন আইন অনুযায়ী বিক্রি করে দাও। অথবা ভালো থাকলে সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় লাগাও। পড়ে থাকবে কেন? শি (প্রধানমন্ত্রী) ওয়াজ কোয়াইট এনয়েড (প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিরক্ত)।’
যেখানে সেতু হবে, সেখানে নদী-খালকে যেন বহমান রাখা হয় সেই নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘নদী-খাল খনন যেন আরও বেশি করে করা হয়। নদীর মাঝামাঝি এলাকাতে যেন খনন করা হয়। যাতে করে যেন পাড় ভেঙে না যায়।’
বেশি করে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তার নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে আরও বেশি করে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে হবে। আরও বেশি করে নদী-নালার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে ভূগর্ভস্থ পানি বেশি না উঠাই। কারণ, অনেক বিশেষজ্ঞদের ভীতি আছে যে, পানির স্তর সম্ভবত নেমে যেতে পারে।’
তবে এ বিষয়ে নিজের ভিন্নমত তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তারা সম্ভবত সঠিক। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। পানির স্তর বোধহয় নামে না। কারণ, বৃষ্টি হচ্ছে। নিচে পানি চলে যাচ্ছে।’