কালীগঞ্জ ব্যুরো ॥
গাজীপুর: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নারী লিপ্সা ও সন্ত্রাসীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার (২৩) বিষপান করে। ৪ মাস ২৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার ভোরে জেসমিন তার বাপের বাড়িতে মারা যায়। দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত জেসমিন আক্তার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের কন্যা।
উল্লেখ্য গত ১০ আগষ্ট কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও এলাকায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জেসমিনকে মারধর করে সন্ত্রাসী বিল্লাল ফরাজী (৪০)। পরে এই বিষয়টি জেসমিনের পরিবারের লোকজন স্থানীয় মেম্বারকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিল্লাল। পরে বিল্লাল জেসমিনের মার মোবাইলে ফোন দিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলে এবং তাদের ভয়ভীতি দেখায়। তার মা লাউন্ড স্পিকারের মোবাইলের কথা বলায় পাশে থাকা জেসমিন সব কথা শুনতে পায়। রাগে ও ক্ষোভে জেসমিন ঘরে গিয়ে বিষাক্ত দ্রব্য সেবন করে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঢাকা নেওয়ার পথে তার শারীরিক অবস্থার বেগতিক হলে তাকে উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ১৫ দিন চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে দেড় মাস চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। তিন মাস বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার ভোরে জেসমিন মারা যায়। ঘটনাটি ঘটিয়ে সন্ত্রাসী বিল্লাল মালয়েশিয়া চলে যায়।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল মোল্লা বলেন, জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে জেসমিনের মা নুরজাহান আক্তার বিল্লাল ফরাজীকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে থানায় গত ১৭/৯/১৯ খ্রি: একটি মামলা দায়ের করেছিল।