বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
এডিস মশার পাশাপশি এবার কিউলেক্স মশা নিধনে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এর জন্য ডিএনসিসি মেয়রের নেতৃত্বে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে সংস্থাটি।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে দু-জন কীটতত্ত্ববিদ এবং ১০ জন শিক্ষানবিশ কীটতত্ত্ববিদ নিয়ে ডিএনসিসি আওতাধীন ৬৩৫টি স্থানে কিউলেক্স মশা নিয়ে সার্ভে করা হয়। সেই সার্ভে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করি। সেগুলো কতটুকু ফলপ্রসূ হলো তা যাচাইয়ে ২০ অক্টোবর আবার সার্ভে করা হয়। যেখানে ইতিবাচক ফলাফল আসে। আজ থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে আমরা এখন এডিস মশার পাশাপশি কিউলেক্স মশা নিধনে কাজ করব।
কীটতত্ত্ববিদদের সার্ভে প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে মেয়র জানান, ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে কিউলেক্স মশায় সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ২০, ২৮, ১১, ০৫, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড।
মশক নিধন কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই তাদের কাজের জবাবদিহি রয়েছে জনগণের কাছে।’
‘প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ বিষয়ে আরও কঠোরভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। মাঠপর্যায়ে মশক নিধনকর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সব কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, এর জন্য একটি স্বাধীন কমিটি কাজ করবে। তারা নিরপেক্ষভাবে সঠিক প্রতিবেদন দেবে আমাদের কাছে।’
মেয়র বলেন, ডেনমার্কের সি- ফোরটি সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মেয়রদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়। সেখানে আমরা অগ্নি-নির্বাপণের জন্য স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন এবং স্কুলের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি দেখেছি। ডেনমার্ক সরকারের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের চুক্তি হয়েছে। অগ্নি-নির্বাপণে এসব স্যাটেলাইট ফায়ার সার্ভিস খুব কাজে আসবে। অন্যরা এগুলো ব্যবহার করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছে। আর স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি দেয়া হবে। এতে করে সড়কে যানজট কমবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন প্রমুখ।