স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ ও নিউভিশন সল্যুশন লিমিটেড এর উদ্যোগে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর অর্থায়নে ‘‘কাঁঠালের সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন’’ শীর্ষক প্রকল্পের ইনসেপশন কর্মশালা বুধবার ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) জেবুন নেছা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) মো. হাবিবুর রহমান শেখ, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মিয়ারুদ্দীন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খান। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী এবং নিউভিশন সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রাফি ভূইয়া। এছাড়াও কর্মশালায় ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষিপণ্য প্রক্রিজাতকরণ প্রতিষ্ঠান ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) জেবুন নেছা বলেন, কাঁঠালে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান। কাঁচা কাঁঠাল থেকে ভেজিটেবল মিট বা গ্রিন মিট তৈরী করা যায়। আবার পাকা কাঁঠালকে প্রক্রিজাত করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা সম্ভব। এভাবে কাঁঠালের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারের মাধ্যমে এর অপচয় রোধের পাশাপাশি দেশের কৃষকরাও লাভবান হবে। আমি আশা করি, আজকের এই কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন তা এই প্রকল্পের সাফল্য আনয়নে অবদান রাখবে।