আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, তার দেশ ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধ চায় না।
মঙ্গলবার রাশিয়া সফরকালে সোচি শহরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
পম্পেও বলেন, ইরানের সঙ্গে তার দেশ যুদ্ধ চায় না। তারা ইরানকে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তাদের আশা ইরান একটি স্বাভাবিক দেশের মতো আচরণ করবে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আঘাত এলে তার জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের যুদ্ধের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে প্রভাবশালী ছয়টি দেশের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি হয়। গত বছর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে বের হয়ে গেল দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পর তেহরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এদিকে ওয়াশিংটন জানায়, ইরানকে সতর্ক করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিসরের সুয়েজ খালে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিংকন মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা ইরানি বাহিনীর উসকানিমূলক ইঙ্গিত ও সতর্কবার্তার প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানি ও তাদের ছায়া বাহিনীর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির প্রতিরোধক হিসেবে এই রণতরী ও বোমারু বিমান মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বোল্টন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কোনো হামলা হলে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করে জবাব দেয়া হবে।
এ ছাড়া ইরানের হুমকির জবাবে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে বি-৫২ স্ট্রাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।