বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে যে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তাতে নতুন হিসেবে ডাক পেয়েছেন বেশ কয়েকজন।
নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পেলেন যারা- ড. আবদুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, টিপু মুনশি বাণিজ্যমন্ত্রী, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন শিল্পমন্ত্রী, নুরুল ইসলাম সুজন রেলপথমন্ত্রী, নুরুজ্জামান আহমেদ সমাজকল্যাণমন্ত্রী, শ ম রেজাউল করিম গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী, গোলাম দস্তগীর গাজী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, শাহাব উদ্দিন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, সাধনচন্দ্র মজুমদার খাদ্যমন্ত্রী, এনামুল হক শামীম পানিসম্পদ (উপমন্ত্রী), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জাহিদ ফারুক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, বেগম হাবিবুন নাহার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পবির্তন (উপমন্ত্রী), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা (উপমন্ত্রী), ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ইমরান আহমদ প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, আশরাফ আলী খান খসরু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, মাহবুব আলী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, মুরাদ হাসান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, স্বপন ভট্টাচার্য এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী,শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, কামাল আহমেদ মজুমদার শিল্প প্রতিমন্ত্রী,সহ আরও কয়েকজন।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
বঙ্গভবনে আগামীকাল সোমবার বিকেলে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রোববার দুপুর থেকে শপথ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা ফোন করেন সংশ্লিষ্টদের। গণভবন থেকে বেলা দেড়টার দিকে তালিকা নিয়ে সচিবালয়ে ফেরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী থাকছেন।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোট পেয়েছে মাত্র সাতটি আসন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা ছাড়া গত বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন। জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট, টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেখ হাসিনা।
সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংখ্যার কমপক্ষে দশভাগের ৯ ভাগ সংসদ-সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ পাবেন। সর্বোচ্চ দশভাগের এক ভাগ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত (টেকনোক্র্যাট) হতে পারবেন বলে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। তখন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের। তবে নির্বাচনের আগে টেকনোক্র্যাট চারমন্ত্রীকে বাদ দেয়া হয়।