আন্তজার্তিক ডেস্ক ॥
পাকিস্তানে শরবত বিক্রেতা আব্দুল কাদেরের একাউন্টে দুই বিলিয়ন রুপি জমা পড়ায় দেশটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ অর্থ কোথায় থেকে এসেছে কিছুই জানেন না ওই শরবত বিক্রেতা। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। জিও নিউজ
দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ জানিয়েছে, একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে এসব অর্থ ওই শরবত বিক্রেতার একাউন্টে স্থানান্তর করেছে। কোন উদ্দেশ্যে বা কেন তার একাউন্টে এসব অর্থ জমা পড়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ওই একাউন্ট আব্দুল কাদের খুলেননি বলে দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আঙুলের ছাপ দেওয়া মানুষ। উর্দুতে তো দস্তখত করতে পারি না, ইংরেজিতে কী করে করবো?
আব্দুল কাদের করাচির আউরেঙ্গি শহরে শরবত বিক্রি করেন। এফআইএ’র মাধ্যমে তার কাছে এ সংবাদ আসার পর তিনি খুব একটা বিচলিত হননি। তিনি ঠেলাগাড়ি নিয়ে শরবত বিক্রি করতে চলে যান। তিনি বলেন, অনেক বছর আগে একটি ঘর কেনার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলেছিলাম। এটি অনেক আগেই বাতিল হয়ে যায়।
দেশটির পুলিশ জানায়, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এর ফলে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা হতে পারে।
পাকিস্তানে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এরআগেও এক কম্পিউার অপারেটরের একাউন্টে ৮ বিলিয়ন রুপির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তানের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানই টেক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য এ ধরনের কাজ করে থাকেন। একাউন্ট মালিককেও এর জন্য অর্থ দেওয়া হয়। বিশ্বের আর কোথাও এ ধরনের ঘটনার উদাহরণ নেই। সূত্র: আমাদের সময়