বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
খুলনা: আশ্বিন মাসেও প্রচণ্ড গরম পড়ছে। টানা কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোদে পথে বের হওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। দিনের শুরুতে গরমের তীব্রতা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে মানুষ বাইরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।
দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া বাতাসের আপেক্ষিক জলীয়বাষ্প ও আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকায় মানুষ অতিরিক্ত ঘামাচ্ছে। সেই সঙ্গে শরীর দ্রুত দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অনেকেই জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
খুলনার সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিকাশ রায় বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষের।
তিনি বলেন, আশ্বিনে চৈত্রের মতো গরম পড়ছে। শরতকালে এত গরম আগে কখনও দেখিনি।
গরমে, ঘামে অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ছিলো ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সাড়ে ১১টায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত কম যে কারণে শরৎকালে যে কোন বছরের চেয়ে বেশি গরম পড়েছে। একটা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে আজ কালকে মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। বাংলানিউজ