বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দিন যতই যাচ্ছে চাকরির বাজার ততই কঠিন হয়ে উঠছে। স্নাতক পাস করে বের হলেই হবে চাকরি এমন নিশ্চয়তা এখন আর নেই। গবেষণায় বলা হচ্ছে, চাকরির বাজারের জন্য তৈরি হতে হলে প্রযুক্তি, ভাষাজ্ঞান ও মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে তরুণদের। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন না আনলে আগামীতে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার তরুণ সমাজ। চাকরির নিশ্চয়তা ও মানের জন্য সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ বেশি। অথচ সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, সরকারি চাকরিতে ঢুকছে মাত্র ৪ ভাগ, বেসরকারি খাতে ১৪ ভাগ, ব্যাক্তিমালিকানায় চাকরি করে ৬০ ভাগ এবং অন্যান্য খাতে ২১ ভাগ মানুষ চাকরিতে করছে।
বাংলাদেশে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যে সংখ্যায় তরুণরা বেড় হচ্ছে তা চাকরি বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ভবিষ্যতে চাকরির জন্য কি ধরনের যোগ্যতা ও দক্ষতা লাগতে তা নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কারিগরি জ্ঞান ছাড়া মুক্তি নেই চাকরি প্রার্থীদের।
ঢাকা বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, আমরা যারা শিক্ষিত হয়ে বেড় হচ্ছি তার সাথে চাকরি বাজারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়ে গেছে। যোগোপযোগী টেকনোলজি ও কারিকুলাম ব্যবহার করে শিক্ষা দিতে হবে। কারণ চাকরির বাজার তো যোগোপযোগী পদ্ধতি ছাড়া কোনো উপায় নেই।
দুই যোগ আগেই হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক জনবিদ ও ক্যাথেরাইটেন বুঝিয়ে দিয়েছেন ফলাফল মাথায় রেখে হওয়া উচিত শিক্ষার সকল শ্রেণির পাঠদান। বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ের বিষয়টি হওয়া উচিত বাধ্যতামূলক। অথচ বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে পুরনো ব্যবস্থা, যেখানে শিক্ষক পড়ান আর ছাত্ররা শুধু শুনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বলেছেন, কে কোন বিষয় নিয়ে পড়ছে সেটা এখন আর দেখে না। প্রযুক্তি, ভাষা ও অন্যান্য বিষয়ে তার দক্ষতা আছে কি না সেগুলো দেখা হচ্ছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিষয় যোগ করা খুব কঠিন। তাই বিদ্যমান বিষয়গুলোতে কর্মসংস্থানের সাথে মিল রেখে পাঠ দানের পরামর্শ শিক্ষকদের। সূত্র : যমুনা টিভি