বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ইয়াবার চালান ঢাকায় আনতে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীরা। স্কচটেপ দিয়ে ইয়াবা পেঁচিয়ে ক্যাপসুল বানিয়ে তা পানি দিয়ে খাওয়ানো হয় তাদের। এরপর পাকস্থলীতে ওই ইয়াবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করে।
রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালানোর সময় রোববার এমনই এক চক্রের ছয়জনকে ইয়াবাসহ আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ। ওই ছয়জনের মধ্যে দুজন রোহিঙ্গা, যারা পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলেন- রোহিঙ্গা মো. সেলিম মোল্লা, রোহিঙ্গা মো. আফছার ওরফে বাবুল, মো. মামুন শেখ, মো. শরিফুল, মো. ফাহিম সরকার ও মো. রাজিব হোসেন। দক্ষিণখানের পূর্ব গাওয়াইর এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আটককৃত মামুন এবং তার সহযোগী রেজোয়ান দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। রেজোয়ান কক্সবাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে ইয়াবা সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠায় এবং মামুন শেখ ঢাকায় ওই ইয়াবার চালান গ্রহণ করে তা বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।
তিনি আরও বলেন, ইয়াবা বহনকারী রোহিঙ্গা সেলিম মোল্লা ও কিশোর আফছার ওরফে বাবুলের সাথে কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসায়ী রেজোয়ানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে রেজোয়ান উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত সেলিম ও আফছারকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢাকায় নেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। দুই রোহিঙ্গা প্রস্তাবে রাজি হলে রেজওয়ান তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঢাকায় ইয়াবার চালান পাঠায়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর ওই চক্রের পলাতক রেজওয়ানসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। সূত্র: আমাদেরসময়