বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আগামী জাতীয় বাজেটে একটি সুষম ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন হয় এমন বাজেটই প্রত্যাশা করছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদেরকে একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন আনতে হবে। আমি সারাজীবন ইন্ডাস্ট্রি চালিয়েছি। সেকেন্ড ওয়াল্ড ওয়ারের পরে জাপান আর জার্মানি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা এসএমইর উপর জোর দিয়ে সারাদেশে ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলে ডেভেলপমেন্ট করে তারা আজকে বিশ্বে টেকনিক্যালি হাই ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হয়ে গেছে। আমাদেরও ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট আনতে হলে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন আনতে হবে। কেননা এক্সপোর্ট কোনো সময় আমরা ভালো করব, কোনো সময় অন্য দেশ। আজকে আমরা গার্মেন্টেসে ভালো অবস্থানে আছি, চিরদিন যে থাকব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আমরা যদি সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে পারি, এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন করতে পারি গ্রাম-গঞ্জে ইকোনোমিক জোনের মাধ্যমে তাহলে আমাদের একটা স্থায়ী ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থা হবে। হঠাৎ করে আমাদের কোনো একটা সেক্টর যদি পড়ে যায় তখন ইকোনোমিতে যেন বিরাট কোনো ধাক্কা না লাগে সে ব্যবস্থা আমাদের আগে থেকেই গ্রহণ করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত হিউম্যান রিসোর্স আছে। এই রিসোর্স কাজে লাগাতে হবে আমাদের। এজন্য স্কিল্ড ম্যানপাওয়ার ডেভেলপ করতে হবে। এ বছর এটা কতটা কার্যকর করতে পারবে জানি না, কারণ এটা নির্বাচনি বাজেটের বছর।
তিনি বলেন, এবার হলো নির্বাচনি বাজেটের বছর। নির্বাচনি বাজেটের বছরে সরকারকে অনেককিছু চিন্তা করতে হয়। ব্যবসায়ীরা চান যে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হোক। বাজেট যেন বড়লোক, গরিব মারার বাজে, ওমুক-তমুকের বাজেট না হয়। এ বছরের বাজেটটি হবে সুষম, এটি আমার প্রত্যাশা। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছেÑ আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়ালে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য যে ধরনের অবকাঠামো ও আইনের শাসন দরকার তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো অফিসে কাজ করতে গেলে যে খরচ হয়, এ ধরনের খরচ কমাতে হবে। তা না হলে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমরা একশ ইকোনোমিক জোন তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছি, এগুলো কার্যকর করতে হবে। আর সব তো আমরা নিজেরা করতে পারব না, বিদেশিদের দিয়েও করাতে হবে। যেমন চীন চট্টগ্রামে ইকোনিমক জোন নিয়েছে, জাপান নিয়েছে আড়াই হাজারে, ভারত মিরসরাইয়ে। এভাবে বড় বড় ব্যবসায়ীবা দেশ যেসব ইকোনোমিক জোন নিয়েছে তা দ্রুত সম্ভব কার্যকর করতে হবে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়বে বলেও মনে করেন এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
সূত্র: আমাদের সময়