বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের এখনি দেশটিতে ফেরত পাঠানোর বিরোধিতা করে রাখাইনের পরিবেশ নিয়ে একের পর এক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে সেখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনে দিকেই নজর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার কূটনীতিকরা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়েছে বিদেশীদের তৎপরতা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, রাখাইনে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরতে চায়কিনা এ নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত স্মরনার্থীদের মতামত জানতে ও তথ্য সংগ্রহে কক্স বাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তৎপর বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত ২৮ এপ্রিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের স্থায়ী ১০ জন এবং পাঁচজন উপ স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩০ সদস্যর প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে মিয়ানমারের গণহত্যা আলামত সংগ্রহ এবং তাদের ফিরে যাওয়ার মনভাব বোঝার চেস্টা করেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সবশেষ গত ১৩ মে ঢাকা আসেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার (ইউএসএইড) প্রশাসক মার্ক গ্রিন। এর পর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন যান তিনি। রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন তহবিল ঘোষণাসহ রোহিঙ্গারা এখনই দেশটিতে যেতে চান কিনা সেদিকে ছিলো তার নজর। তার সঙ্গে সংস্থাটির এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র উপসহকারী প্রশাসক গ্লোরিয়া স্টিল এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংখ্যা, অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী মার্ক স্টোরেলাও এসে ছিলেন।
এ ছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরে এসে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদোও গিয়ে ছিলেন ক্যাম্প পরিদর্শনে। চার জানুয়ারী সুইজারল্যান্ড প্রেসিডেন্ট এ্যালেন বার্সেট এবং মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা আসেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্রুং তান সাং। দ্বিপক্ষীয় হাই প্রোফাইল এ সফরগুলোতে তারা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান।
এ ইস্যুতে ৪ ফেব্রুয়ারি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গা বিষায়ক বিশেষ দূত বব রায় পুনরায় বাংলাদেশ সফরে পুণরায় সফর করেন। এর আগে গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসেন বব রায়। এর পাঁচ দিনের মাথায় দুই দিনের সফরে ৯ ফেব্রুয়ারি আসেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ঢাকা সফরের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে যান।