বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জেএসসি পরীক্ষার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটা সরকারের ভেবে দেখা দরকার। এই পরীক্ষার কারণে অনেক বাচ্চা তাদের শৈশব হারিয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু।
চলতি বছরের জেএসসিতে ৭ বিষয়ে ৬৫০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চলতি মাসেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
২০১০ সাল থেকে ৮ম শ্রেণিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষা হতো। পরে গত বছর ৩টি বিষয় কমিয়ে ১০টি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়।
এবছরের জেএসসি পরীক্ষার বিষয় আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। আর গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে যথাক্রমে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চারু ও কারুকলা এবং ঐচ্ছিক বিষয়গুলো মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতেই এ স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আন্ত:শিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নিবো। এই বিষয়ে ইতোমধ্যে আমরা মন্ত্রাণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সিন্ধান্ত জানাবে।
এদিকে অভিভাবকদের দাবি, শুধু বিষয় কমানোই নয় জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের।
আগামী পহেলা নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ৭ বিষয়ের পাঠ্যক্রমের জেএসসি পরীক্ষা।
সূত্র : যমুনা টিভি