জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় মোখলেছুর রহমান লিটন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে কুমিল্লা জেলা শহর থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তবে লিটনকে সরাসরি ‘আটক’ বলা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। কার মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেটিও স্পষ্ট জানা যায়নি।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ৫৭ ধারার যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না বা তার মোবাইল থেকে কিছু পোস্ট করা হয়েছি কি-না এগুলো আমরা দেখছি।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী রাশেদুল কাউছারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে এপ্রিল মাসে কসবা থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের দায়ের করা ওইসব মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়কেও আসামি করা হয়। এর মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপনের দায়ের করা মামলাটি গত ২৪ এপ্রিল, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. রবিউল্লার দায়ের করা মামলাটি ২৫ এপ্রিল এবং সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আলম ও যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়ের বিরুদ্ধে করা যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিউলি আক্তার রতœার মামলাটি ২৬ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়। এছাড়ও উপজেলা যুবলীগ নেতা এম এইচ মানিক ও মাহবুবুর রহমানের মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।