মাদক-জঙ্গিবাদ রুখতে র‌্যাবের ভূমিকা প্রশংসনীয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: দেশে জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে র‌্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে এসবের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতিকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

র‌্যাব ফোর্সেসের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ মে) রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাহিনীটির সদরদফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশজুড়ে একসময় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, অনেকে স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এটা বলে দিতে চাই, সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে র‌্যাবের বিশিষ্ট ভূমিকা ছিল। তাদের এ ভূমিকা প্রশংসনীয়।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য অভিভাবক ও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তো ভুল পথ। এ ভুল পথে যেন ছেলে-মেয়েরা না যায়, সেজন্য সমগ্র জাতিকে সচেতন করতে হবে। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে। এরইমধ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সেজন্য সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিতও। অনেকে মনে করে, কিভাবে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সফল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের বাহিনীগুলোর পাশাপাশি জনগণও সচেতন ভূমিকা রেখেছে।

‘বাবা-মাকে মনে রাখতে হবে, তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কী করছে, তা খেয়াল করার তারই দায়িত্ব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে হবে, যেন শিক্ষার্থীরা বেশিদিন অনুপস্থিত না থাকে। অনুপস্থিত থাকলে কেন ছিল, কোথায় ছিল তার খোঁজ নিতে হবে।

মাদকের বিরুদ্ধেও সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে এরইমধ্যে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি মাদকে জড়িয়ে পড়ে, তবে সেটা যে তার পরিবারের জন্য কতোটা কষ্টের, তা ওই পরিবারই বোঝে। আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সফলতা অর্জন করেছি, মাদকের বিরুদ্ধেও র‌্যাবকে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এরইমধ্যে তারা অনেক সফল অভিযান চালিয়েছে। যারা উৎপাদন করে, পরিবহন করে, বিক্রি করে এবং সেবন করে সবাই সমান অপরাধী। এ বিষয়েও র‌্যাবকে বিশিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সুন্দরবন আমাদের কেবল ঐতিহ্যই নয়, আমাদের সম্পদ। সেখানে দীর্ঘদিন জলদস্যুদের ভয় ছিল। কিন্তু তারা
ফিরে আসছে স্বাভাবিক জীবনে। এক্ষেত্রেও র‌্যাব ভূমিকা রেখেছে। জলদস্যুরা যদি আত্মসমর্পণ করে তবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।

সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ ইশতেহারের চেয়েও অনেক বেশি কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার, এ প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তাই আমরা সব বাহিনীকে যুগোপযোগী করে দিচ্ছি, আধুনিক করে দিচ্ছি। হয়তো আমরা ধনী দেশ নয়, কিন্তু আমাদের মানবসম্পদ রয়েছে, যেটা সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের সারিতে এসেছে।

র‌্যাবের স্লোগান ‘বাংলাদেশের আমার অহংকার’ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রতিপাদ্য প্রশংসনীয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলাদেশ নিয়েই আমাদের গর্ব। আমরা চাই এ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫