স্টাফ রিপোর্টার ॥
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বুধবার সারাদেশে অনশন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই অনশন। অনশনকে ঘিরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিশেষ করে রাজধানীর প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে অন্যদিনের তুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ। এ ছাড়া আছে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে অনশনের জন্য রাজধানীর প্রেসক্লাব উপস্থিত হয়েছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ২০ দলের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথেও সক্রিয় বিএনপি। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার তিন দফা স্থান পরিবর্তন করে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এর আগে সোমবার একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট।