বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
অবৈধ কর্ম থামানো না গেলে বন্ধ হবে না সীমান্ত হত্যা। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৪’শ বাংলাদেশি।
১ লাখ ৪৭ হাজারের বর্গ কিলোমিটারের এই দেশ। সবুজ-শ্যামল শান্তির এ দেশে ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সাধারণ সীমানা বাংলাদেশ আর ভারতের। এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা ৩২টি আর ভারতের ৫টি প্রদেশ।
দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও মাঝে মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত অতীতের মতো হাজির হয় সীমান্ত উত্তেজনা। আর পাওয়া যায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে বাংলাদেশি নিহতের খবর।
পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পর থেকে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৪’শ বাংলাদেশি। দীর্ঘ এ সময়ে সাধারণ মানুষ ও সীমান্তরক্ষী আহতের সংখ্যাও কম নয়। দশকের হিসেব দেখলে দেখা যায়, ১৯৯৭২ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১০৩ জন, পরের দুই দশকে নিহতের সংখ্যা ১৮৩ ও ২৭৪ জন। সবচেয়ে বেশি সীমান্তে হত্যা হয়েছে পরের দশকে। সে সংখ্যা ৬৬৮ জন ২০১২ সাল থেকে পরের ৫ বছরে সীমান্তে প্রাণ গেছে ১৭৮ জন বাংলাদেশির।
সীমান্তে হত্যা নির্বিচার চলার একমাত্র কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে চোরাচালান বন্ধ না হওয়ায়।
যদি বিজিবির কর্মকর্তাদের দাবি সীমান্ত আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। সীমান্ত কূটনীতির ফলে কমেছে গুলির পরিমাণও।
বিজিবি বলছে, সীমান্তে সন্ধ্যার পরে একশ গজের মধ্যে কোন রাখালকে বা অন্য কোন মানুষকে যদি দেখা যায় তবে তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। আমরা তাদেরকে উৎসাহ করছি যাতে তার সীমান্ত ক্রস না করে।
বিজিবির এমন আশ্বাস দেয়ার পরেও অনেক সময় শুনা যায় অনাকাক্সিক্ষত সিমান্ত হত্যার ঘটনা। এখনো মাঝে মধ্যে চোখ ভারী করে দেয় ফেলানীর ঝুলে থাকা বা নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য।
সূত্র – যমুনা নিউজ