স্টাফ রিপোর্টার ॥
‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ এই নীতিতেই এগোবে পররাষ্ট্রনীতি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ‘জনগণ ও শান্তির জন্য কূটনীতি’ শীর্ষক তিন দিনের সম্মেলনের তিনি এসব কথা বলেন।
এই প্রথমবারের মত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিদেশের মিশনগুলোতে দায়িত্বপালনরত দূতদের নিয়ে এক সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ৫৮টি দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণসহ সামগ্রিক বিষয়ে বর্তমান সরকারের নীতির পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রত্যয়ে স্বাধীনতার পর ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই দূত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো রাজধানীতে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫৮টি দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ অংশ নেবেন। সম্মেলনে বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক নীতি বিষয়ক একটি একটি বিশেষ অধিবেশন থাকবে। এছাড়া, সম্মেলনে সমসাময়িক বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে প্যানেল আলোচনা থাকবে।
এই সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে- উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈদেশিক নীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ এবং বিশ্বের একটি দায়িত্বশীল ও শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে। সেই সাথে এসব ক্ষেত্রে কোথাও কোনো দুর্বলতা থাকলে তা চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেয়া হবে। এ সম্মেলনে মোট ১৪টি কর্মঅধিবেশন থাকবে। সম্মেলন চলবে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এদিকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে ঢাকায় চলে এসেছেন।