বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। আর এ ভাষণকেই ফখরুলরা (বিএনপির মহাসচিব) নিষিদ্ধ করেছিল। আমরা এ ভাষণ প্রচার করতে পারিনি, মাইক কেড়ে নিত।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত যাও তাবাযারা দি ওলিভেরা জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল (শনিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটি আয়োজিত সমাবেশ হয়েছে। ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় দেশের নাগরিক সমাজ এ সভার আয়োজন করে। কিন্তু এ সভাকেও মির্জা ফখরুলরা ছোটো করে। বিএনপি মহাসচিব অবশ্য বলেছিলেন ৭ই মার্চের স্বীকৃতি আনন্দের। এতটুকুই তিনি বলেছেন। কিন্তু এতটুকু বলতেও তার খুব কষ্ট হয়েছে। কারণ, এই ফখরুলরাইতো তারা, যারা ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল। প্রথমে এ ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তানিরা। এরপরে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেছিল জিয়া-খালেদারা।
তিনি বলেন, গতকাল মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার মুখে মানায় না। এমন কোনো বিষয় নেই যার মধ্যে তারা নেতিবাচক খুঁজে বেড়ায় না। সরকারের ভাল কোনো উদ্যোগই তাদের ভাল লাগে না। এভাবে ছোটো মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। রাজনীতি করতে হলে বড় মন লাগে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের যে ভাষণ সেটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। কারণ, এই ভাষণটি ২০ লক্ষাধিক মানুষের সামনে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষণ এত লোকের সামনে দেয়া হয়নি। আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুতার কিংসহ অনান্যদের বক্তব্য ছিল লিখিত এবং এগুলো সভা-সেমিনারে দেয়া বক্তব্য। এদিক বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অদ্বিতীয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে যে প্রস্তাব পাস হয়েছে সেখানে ভারত এবং চীনের অবস্থান নিয়ে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনেকেরই স্বার্থ জড়িত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এটা নিয়ে কথা বলছে। আমরা আশা করছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত দিতে পারব, তবে এটা কঠিন। চীন ওখানে ইকোনমিক জোন করছে, ভারত সেখানে পোর্ট তৈরি করেছে। এ কারণে তারা কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে। তবে চীনের মন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তারা উদ্যোগ নিতে পারেন।