স্টাফ রিপোর্টার ॥
আওয়ামী লীগ ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী ও উন্নয়নমূলক বলে অভিহিত করেছে। আওয়ামী লীগের টানা আট বছর ক্ষমতায় দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তাবিত বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বাজেট নিয়ে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে একটি যুগোপযুগী উন্নয়নমূলক বাজেট দেয়া হয়েছে। এটি গণমুখী ও উন্নয়নমূলক। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করে তুলতে এই বাজেটে শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য শিল্পখাতও অগ্রাধিকার পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই বাজেট গত এক বছরের সফলতার ধারাবাহিকতার বজায় রাখবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা আশা করছি প্রস্তাবিত এই বাজেটে জিডিপি ৭ দশমিক ৪ লক্ষমাত্রায় পৌঁছাতে পারব।
দলটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক টিপু মুন্সি বলেন, উন্নয়নের জন্য এটি একটি পজেটিভ বাজেট। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি জনবান্ধব বাজেট তৈরি করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে একটি সাহসী বাজেট দেয়া হয়েছে যার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বাজেট বাস্তাবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে এ বাজেট সম্প্রর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মন্তব্য করে বলেন, ২০১৭-২০১৮ সালের সালের বাজেট হলো আওয়ামী লীগের লুটপাটের বাজেট। এ বাজেট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীও কিছু জানেন না। হাসিনা যা চান তাই হয়েছে। এ বাজেট হলো আওয়ামী লীগের চুরি করার বাজেট।
সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের পর তাকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল করে দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।
এরপর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করে দক্ষিণ যুবলীগ। মিছিলটি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে জিপিও-পল্টন মোড় হয়ে পুনরায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিকেল পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আনন্দ মিছিল করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মরীরা। ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাফিয়া খাতুন ও মাহমুদা বেগম ক্রিকের নেতৃত্বে মিছিল করে মহিলা আওয়ামী লীগ। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন। বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে পৃথক পৃথক আনন্দ মিছিল বের করেন তারা।