বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। এটি আরো উত্তরে ভারতের মনিপুরের দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে স্থলনিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় ৪-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
সামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোরা’র প্রভাবে ভোরে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার, সেন্টমার্টিনে ছিল ১১৪ কিলোমিটার। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এছাড়া নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর বিপদ সংকেত পুনরায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর পুনঃ ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর চারটার পর থেকে সেন্টমার্টিন লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা-বাড়িঘর ঝড়ে বিধ্বস্ত হতে শুরু করেছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্র, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে, তারা সবাই খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।