বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে ট্রাম্প সৌদিকে বেছে নেওয়ায় বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক জোরদার হবে। ট্রাম্প সেখানে ৩টি সামিটে অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ট্রাম্প সফরের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের বেশ কয়েক শত বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কিন্তু সৌদি জনগণ ট্রাম্পের আগমনকে কিভাবে দেখছে সিএনএন এর বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রিয়াদের অধিবাসীরা উষ্ণ আতিথেয়তায় ট্রাম্পকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
সৌদি নাগরিকরা বিশ্বাস করে ট্রাম্প ভবিষ্যৎ রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করবে।
সিএনএন কে একজন সৌদি নাগরিক বলেন, ট্রাম্প খুবই আন্তরিক।
আহমেদ আল মোবারক নামের সৌদি গাড়ি ব্যবসায়ী বলেন,আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভালোবাসি। তিনি একজন ভালো মানুষ। ট্রাম্প ভিন্ন কিছু করে বিশ্বের জন্য নতুন ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছে। যা মুসলিম বিশ্বের প্রতি আমেরিকার বিদ্বেষী মনোভাবের বহির্ভূত।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি ট্রাম্প ওবামার থেকে ভালো। তিনে সৌদিকে ভালোবাসেন তাই সৌদি এসেছেন। আমি মনে করি ভবিষ্যতে আমেরিকার আরো ভালো হবে।
ট্রাম্পের আগমনে প্রত্যেক শহর,হোটেল,মন্ত্রণালয় ও বিমান বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে ও কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে রিয়াদকে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুসলমানদের বের করে দেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এরপর মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। এ প্রেক্ষিতে একজন সৌদি নাগরিক বলেন,আশা করছি মুসলমানদের প্রতি ট্রাম্পের নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন হবে।
আব্দুল্লাহ আল আসমারি নামে সৌদি নাগরিক বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় মুসলিম বিরোধিতা ছিল এক ধরনের নির্বাচনী কৌশল। তাই সৌদি নাগরিকরা আশা করছেন ট্রাম্প মুসলিমদের ক্ষমা করে মুসলিম বিশ্বের প্রতি নমনীয়তা বাড়াবেন। সিএনএন