বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নগর বিশ্লেষক ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন, ঢাকায় প্রতিবছর ১ লাখেরও বেশি ফ্ল্যাটের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। আর ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহর অঞ্চলে আবাসনের আওতায় কমবেশি পঞ্চাশ শতাংশ বাসস্থানের বাড়িঘর ব্যক্তিমালিকানাধীন, চল্লিশ শতাংশ ভাড়াটিয়া ও দুই শতাংশ অবৈধ দখলের মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্চে। রাজধানীর ঢাকা হোটেলে স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে আবাসন খাতের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দেশে আবাসন খাতে ব্যক্তি মালিকানাধীন গৃহায়নের প্রবৃদ্ধির হার আনুমানিক ৮ শতাংশ এবং ভাড়াটিয়া প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৫ শতাংশ।
তিনি তার ‘সবার জন্যে আবাসন’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলেন, আবাসন সমস্যা সমাধানে সরকারিভাবে সবধরনের সুযোগ সুবিধাসহ বিত্তশালীও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোকে স্বল্পমূল্যে প্লট বরাদ্দ- কিছু ধনী ও ক্ষমতাশালীকে আরো ধনী বানানোর ‘অপূর্ব’ একটি পদক্ষেপ মাত্র। প্রায় সব বরাদ্দপ্রাপ্ত সরকারি জমির মালিকানা মালিকগণ কয়েক লাখগুণ মূল্যে ‘ব্লাকে’ বিক্রি করে থাকেন ডেভলপার তথা আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছে।
তাই আবাসন সমস্যা নিরসনে জনে জনে বিশেষ করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিষিদ্ধ করার আহবান জানিয়ে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, সম্প্রতি বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিরাট এলাকা নিয়ে পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন আয়তনের সুউচ্চ ‘আবাসিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে সরকার ও বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগ আসতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ, মাসিক ভাড়ার সমপরিমাণ কিস্তিতে ফ্লাট কেনার সুযোগ সৃষ্টি করলে আবাসন সমাধানে বিরাট অগ্রগতি হতে পারে।
৭২’এর মাঝামাঝি কোনো এক বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি উল্লেখ করে এই স্থপতি বলেন, সেদিন নবীন স্থপতিদের পিঠ চাপড়ে জাতির পিতা কয়েকবার উচ্চারণ করেছিলেন, ‘বাবারা শুধু ঢাকা নিয়ে পরিকল্পনা কোরোনা, সারা দেশটারে নিয়ে পরিকল্পনা কোরো।’