বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জীবিত ধরতে চাইলেও জঙ্গিদের আত্মহত্যার প্রবণতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। গত দুই মাসের অভিযানে চার শিশুসহ মোট ১৭ জঙ্গি আত্মঘাতী হবার পর এমনটাই জানালেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তার মতে, ধারাবাহিক অভিযানে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন নিজেদের তৈরি বোমা ও বিস্ফোরকই তাদের ভরসা।
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেঁস্তোরায় ভয়াবহ হামলার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে রক্তক্ষয়ী অভিযান চালানো হয় গত মার্চে সিলেটের আতিয়া মহলে।
দেশ-বিদেশে আলোড়ন তোলা অপারেশন টোয়াইলাইট নামের এ অভিযানে সেনাবাহিনীর গুলিতে দুজন মারা গেলেও আত্মঘাতি হয় দুই জঙ্গি। আস্তানার পাশে জঙ্গিদের ফেলে রাখা বোমায় মারা যান র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান, দুই পুলিশ পরিদর্শকসহ ৭জন।
এই অভিযান শেষ না হতেই সিলেটের মৌলভীবাজারে খোঁজ মেলে আরও দুটি জঙ্গি আস্তানার। যার মধ্যে নাসিরপুরে অপারেশন হিট ব্যাকে চার শিশুসহ আত্মঘাতি হয় ৭জন। আর বড়হাটে অপারেশন ম্যাক্সিমাসে পর উদ্ধার হয় ৩ জঙ্গির ছিন্নভিন্ন লাশ তারাও আত্মঘাতি ছিলো বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
গোয়েন্দারা বলছেন, এভাবে আত্মঘাতি হওয়া জঙ্গিদের পরিকল্পনারই অংশ।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধানের মতে, তামিম চৌধুরী ও সারোয়ার জাহান নিহত হবার পর চরম অর্থ সংকটে পড়েছে নব্য জেএমবি। তাই শুধু বোমা আর বিস্ফোরকই এখন তাদের ভরসা। তিনি জানান, আপাতত নির্দিষ্ট কোনো হামলার আশঙ্কা নেই। তারপরও সতর্ক থাকার পরামর্শ তার। হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে ৫৩ জন জঙ্গি।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোর