জামায়াত নেতা আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন ৮ মে

স্টাফ রিপোর্টার ॥

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার সাবেক এমপি জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা থাকলেও তা হয়নি। ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতির মধ্যে একজন ছুটিতে থাকায় মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পিছিয়ে আগামী ৮ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মামলার নতুন করে এই দিন ধার্য করেন। আজিজ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ নাজমুল হুদা ও মোহাম্মদ আব্দুর রহিম মিঞা। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে।

গত বছরের ২ আগস্ট প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্টের (সূচনা বক্তব্য) মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। সেদিনই তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইনের ৩(১), ৪(১) ও ৪(২) ধারা অনুসারে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও
অগ্নিসংযোগের তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ১৫ জনকে হত্যা-গণহত্যা ও তাদের মরদেহ গুম, তিনজনকে আটক ও অপহরণ করে নির্যাতন এবং তাদের বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ।

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বর্তমান গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ছয় খণ্ডে ৮৭৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ, দলিল ও ডকুমেন্টস রয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেড এম আলতাফুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। ঘটনার ২৫ জন ও জব্দ তালিকার তিনজনসহ মোট ২৮ জন সাক্ষী ছয় আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরগঞ্জের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের প্রয়াত আলম উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান সরকার বাদী হয়ে আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আজিজার রহমানের বড় ভাই মো. বয়েজ উদ্দিনকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে ওই মামলাটি করা হয়। অন্যদিকে ধর্মপুর গ্রামের আকবর আলীকে হত্যার অভিযোগে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন আনিছুর রহমান। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির চার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি জামায়াত নেতা আবদুল আজিজ।ে

শেয়ার করুন

Related News

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫