স্পোর্টস ডেস্ক ॥
পিএসজির পর জুভেন্টাস। বার্সেলোনার সামনে অপেক্ষা করছে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠতে হলে জিততে হবে চার গোলের ব্যবধানে। আরেকটি ইতিহাস গড়া প্রত্যাবর্তনের জন্ম দিতে প্রস্তুত কাতালানরা। কোয়ার্টারের বাধা অতিক্রমে আশাবাদী বার্সা মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ।
শেষ আটের প্রথম লেগে জুভিদের মাঠে ৩-০ গোলে হারের লজ্জায় ডোবে লুইস এনরিকের বার্সা। আগামী বুধবার (১৯ এপ্রিল) ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বের ম্যাচ। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায়।
হোম ভেন্যুতে সেমি নিশ্চিতের লক্ষ্যে ন্যূনতম ৪-০ গোলে জিততে হবে। ৩-০ ব্যবধানে নির্ধারিত সময় পার করতে পারলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের পাশাপাশি রক্ষণভাগও সুরক্ষিত রাখার বিকল্প নেই। জুভেন্টাস অ্যাওয়ে গোল পেয়ে গেলে বার্সার ঘুরে দাঁড়ানোটাও কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে দাঁড়াবে।
জুভেন্টাস ম্যাচের প্রস্তুতিতে জয় পেলেও বার্সার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে রক্ষণ দুর্বলতা। ঘরের মাঠে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সবশেষ লিগ ম্যাচটিতে প্রথমার্ধের ৩-২ গোলের ফলাফলেই ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘটে। জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি। পুরো নব্বই মিনিট খেলেন রাকিটিচ।
সে যাই হোক, ঐতিহাসিক পিএসজি ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছে বার্সা। নকআউট পর্বের (শেষ ষোলো) প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও অলৌকিক প্রত্যাবর্তনে শেষ চারে পা রাখে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ন্যু ক্যাম্পে ৬-১ গোলের (৬-৫ অ্যাগ্রিগেট) অভাবনীয় জয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে টিম বার্সা।
এক সাক্ষাৎকারে রাকিটিচ বলেন, ‘আমরা যদি এভাবে খেলতে পারি, অন্যান্য ম্যাচে যা করেছি তাই করতে পারবো। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচটি উদাহরণস্বরূপ বলা যায়। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখি এবং সমর্থকরাও আমাদের ওপর আস্থা রাখেন।’
লা লিগায় বাকি ছয় ম্যাচ সামনে রেখে আরও উন্নতির তাগিদ দিয়েছেন রাকিটিচ, ‘এটা অনেক কঠিন জয় ছিল। সোসিয়েদাদের নিজস্ব একটা খেলার ধরন রয়েছে এবং তারা বল দখলে রাখতে চায়। আমরা আরও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু এটা একটা ভালো ম্যাচ ছিল। এটা সত্য যে আমাদের কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে জয়ের ধারায় থাকা। ম্যাচটি জিতে আমরা খুবই খুশি, এটিই অব্যাহত রাখতে হবে।’