বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ন্যাটোর আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের সীমানা নিরাপদ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন। ট্রাম্প ন্যাটোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ডে সৈন্য প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পোল্যান্ডে অবস্থান করা ন্যাটোর ব্যাটেলিয়ানটি সহ¯্রাধিক সৈন্য নিয়ে গঠিত। সৈন্যদের মধ্যে ৯০০ জনই যুক্তরাষ্ট্রের, ১৫০ জন যুক্তরাজ্য এবং ১২০ জন রোমানিয়ার। তারা সবাই পোল্যান্ডের অরিজাইজ নামক ছোট্ট শহরে সমাগত হয়েছে। আর ওই শহরটি রাশিয়ার কালিলিনগ্রাদের সামরিক ছিটমহল থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত।
পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ দুদা আগত সৈন্যদের অভিবাদন জানান এবং জাতির প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য ন্যাটোর প্রশংসা করেন। তিনি ঘটনাটিকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করে বলেন, এ অঞ্চলে মস্কোর বিস্তৃত রাজনৈতিক প্রভাবের আলোকে ন্যাটোর এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার প্রতি উপযুক্ত জবাব হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তারা এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও যোগ করেন দুদা।
রাশিয়ার সাথে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ পোল্যান্ডের। এই বিরোধ মেটাতে পোল্যান্ড সরকার ন্যাটোর সাহায্য চেয়ে আসছিলো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এবং ট্রাম্প ন্যাটোকে সমর্থন করায় পোল্যান্ডে সামরিক সাহায্য পাঠালো সংস্থাটি।
বিষয়টি নিয়ে ন্যাটো মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ইউরোপের জেনারেল কার্টিস স্কাপারত্তি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, পোল্যান্ডে এসব সৈন্য প্রেরণ যেকোন সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা পাঠাতেই প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউজে বুধবার (১২ এপ্রিল) ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ এর সাথে স্বাক্ষাত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচন প্রচারণাকালীন সময় থেকেই তিনি ইউরোপীয় ইউনয়িনের এ জোটের বিপক্ষে কথা বলছিলেন। তিনি ওই সময় বলেছিলেন, ন্যাটো অচল হয়ে পরেছে। তবে বুধবারে ন্যাটো প্রধানের সাথে স্বাক্ষাত এর পর তিনি ন্যাটো সম্পর্কে তার পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, আমি বলেছিলাম এটা অচল, তবে এখন আর এটা না। নিউজউইক