স্পোর্টস ডেস্ক ॥
আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম আসর ছিল গতবারই। সেই সময় বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উড়ন্ত সূচনা করেছেন তরুণ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার কাটারের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। প্রথম আসরেই এই তরুণ পেসারকে দলে নিতে ভুল করেনি হায়দরাবাদের দলটি। ফলাফল চ্যাম্পিয়ন। তাই নিজেদের দ্বিতীয় আসরে কেন হাত ছাড়া করবেন জয়ের নায়ককে! এতদিন শ্রীলঙ্কা সফরে থাকায় আইপিএল শুরু হলেও যেতে পারেননি। ৭ই এপ্রিল দেশে ফিরে এসে কিছুটা বিশ্রাম নিয়েছেন। সেই সঙ্গে পেয়েছেন বিসিবি’র অনাপত্তিপত্রও। কারণ নিজের প্রথম আসরে আইপিএল থেকে ফিরেই তিনি পড়েছিলেন বড় ধরনের ইনজুরিতে। তাই বিসিবি এবার তাকে নিয়ে বেশ সতর্ক। গতকাল বিকেল ৫টায় ভারতের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন কাটার মাস্টার। দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবন থেকে তিনি বের হন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পথে। তার আগে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয় চান। তিনি বলেন, ‘গতবার যেমন করেছিলাম, তার চেয়েও ভালো করতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন ভালো করতে পারি।’ আজ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে হায়দরাবাদ। এ ম্যাচেই হয়তো দলটির একাদশে বল হাতে দেখা যেতে পারে মোস্তাাফিজকে।
প্রথমবারের মতো আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে গিয়ে বাজিমাত করেন মোস্তাফিজ। কাটার-স্লোয়ার-ইয়র্কারের দুর্দান্ত বোলিং করে ১৬ ম্যাচে ২৪.৭৬ গড়ে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। দলকে চ্যাম্পিয়ন করে নির্বাচিত হন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে। এই আসরে মোস্তাফিজকে ছাড়া এরই মধ্যে দু’টি ম্যাচ খেলেছে হায়দরাবাদ। দু’টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। গত বছরে কোচ-অধিনায়ক সবার সঙ্গেই বেশ সখ্য হয়েছে মোস্তাফিজের। ভারত যাত্রার আগে মোস্তাফিজের কণ্ঠে তাই বাড়তি আত্মবিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার সবই ছিল অচেনা। এবার তো প্লেয়ার, ড্রেসিংরুম, মাঠ, সবই চেনা। এবার আরো সহজ হবে আইপিএল খেলা। দলে জায়গা পেলে সেরা পারফরমেন্স করতে চাই।’ টি-টোয়েন্টিকে ব্যাটসম্যানদের খেলা বলা হলেও মোস্তাফিজের বোলিংয়ের সামনে ধুঁকতে হয় বিশ্বসেরাদেরও।
অন্যদিকে মোস্তাফিজকে নিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফিও বলেছেন তিনি চান মোস্তাফিজ আইপিএল-এ নয়, খেলুক শুধু দেশের জন্য। তাই এবার তার এনওসি (অনাপত্তিপত্র) পেতেও সময় লেগেছে। বিসিবি সবদিক বিবেচনা করেই তাকে ছাড় দিয়েছে। আইপিএল-এ খেলার কারণে তার ও সাকিব আল হাসানের যাওয়া হচ্ছে না জাতীয় দলের সঙ্গে সাসেক্সে। সেখানে আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ দল। ৯ই মে দল যাবে আয়ারল্যান্ডে। ১২ই মে থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। আইপিএল’র ফাইনাল হবে ২১শে মে। জাতীয় দলে খেলার কারণে শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ দল ফাইনালে গেলেও মোস্তাফিজের খেলা হবে না সেখানে।