স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিনা ভোটে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতেই ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকার প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিজয়ী নেতাদের নিয়ে সাক্ষাৎ’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজয় নেতারা বেগম জিয়ার হাতে ফুলের তোলা তুলে দেন।
প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতেই প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। আর এ ৫ বছর তারা ‘আওয়ামী লীগ’ ক্ষমতায় থেকে কাগজে-কলমে দেশটা লেখে দিয়ে বিদায় নেবে। আর সেই নির্বাচনে কোন ভোট হবে না। ছাত্রলীগ ও যুব লীগ নেতারা অস্ত্র নিয়ে সেই নির্বাচন করবে- বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা চোরা পথে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ তাদের সাথে আঁতাত করে। উদারণ হল, এরশাদ। আওয়ামী লীগ ৮৬’তে বলেছিল, যারা এরশাদের অধিনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। অথচ আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচননে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে অংশ নিয়েছিল। প্রমান হিসাবে, সেই সময় নিজামীর সঙ্গে শেখ হাসিনার অনেক ছবিও আছে। রসিকতা করে বলেন, মওদুদ আহমদও তার স্বাক্ষী। সুতরাং জামায়াত আওয়ামী লীগের বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্ব এবং সক্ষতা এখনও আছে। প্রয়োজন হলে কাজে লাগাবে- বলেন বেগম জিয়া।
দেশের বিভিন্ন জেলায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের বরখাস্তের তীব্র নিন্দান জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ‘আওয়ামী লীগ’ কোর্টের নির্দেশও মানে না। বলে প্রধানমন্ত্রী জানেন না, প্রধানমন্ত্রী কেনো জানবেন? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই মেয়রদের বরখাস্ত করা হচ্ছে- অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু বর্তমান সিইসি নিরপেক্ষ নন, সরকারও নিরপেক্ষ নয়। আর বর্তমান সিইসি আগের সিইসির পথে চলছে। তাই এদেশের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আর সেটা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও ইউনিয়র পরিষদ নির্বাচনে প্রমান হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে অভিযোগ করে বেগম জিয়া বলেন, কুমিল্লা নির্বাচনে কারচুপি না হলে আমরা ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিততাম।
জাতি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। দেশটাকে বাঁচাতে হবে। কারণ দেশ বাঁচলে সবাই বাঁচবে। আর আমার টাকা পয়সার লোভ নেই। বয়স হয়েছে, আমি টাকা কোথায় নিয়ে যাবো।
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।