খাসকামরায় ঐশীর বক্তব্য শুনছেন হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: খাসকামরায় নিয়ে বাবা-মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে ঐশী রহমানের বক্তব্য শুনছেন হাইকোর্ট। মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে একান্তে তার কথা শোনা হচ্ছে। সেখানে কেবলমাত্র আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের একজন করে আইনজীবীকে রাখা হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) সকাল পৌনে দশটার দিকে হাইকোর্টের নির্দেশে ঐশীকে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সকাল দশটা ৩৫ মিনিটে এজলাসে বসে তাকে নিয়ে খাসকামরায় যান।

ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলাকালে গত ০৩ এপ্রিল মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে আইজিকে (প্রিজন) তাকে ১০ এপ্রিল হাজির করার আদেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ১২ মার্চ থেকে ডেথ রেফারেন্সের এ শুনানি চলছে।

আদালতে ঐশীর পক্ষে আছেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।

ঐশীর আইনজীবীরা সেদিন আদালতে বলেন, কোনো সুস্থ ব্যক্তি বাবা-মাকে হত্যা করতে পারে না। একটি মেডিকেল রিপোর্টেও দেখা গেছে, সে মানসিক বিকারগ্রস্ত।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন।

অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার চলছে শিশু আদালতে।

এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের  ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। ঐশীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে দু’বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অপর আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পেয়েছেন।

দু’টি খুনের জন্য পৃথক দু’টি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। দু’টি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা করে ঐশীকে দু’বার ফাঁসি ও দু’বারে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায়ের ৭ দিন পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছে। পরে এ মামলায় শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

এরপর রাষ্ট্রীয় প্রকাশনা সংস্থা বিজি প্রেসে আপিল শুনানির জন্য ঐশীর মামলার পেপারবুক তৈরির পর হাইকোর্টে পৌঁছে।

পরে গত বছর শুনানির জন্য ডেথ রেফারেন্স ও ঐশীর আপিল কার্যতালিকাভুক্ত হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫