বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পাকিস্তানে রাজস্ব ঘাটতি দেশটির আর্থিক, জালানি ও বৈদেশিক খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। জিডিপির ৪ দশমিক ১ ভাগ রাজস্ব ঘাটতি হওয়ায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, তেলের মূল্য কমে যাওয়া ছাড়াও রফতানি ও কৃষিখাতকে বিশেষ প্যাকেজ সহায়তা দেওয়ায় রাজস্ব বিলিয়ন দাঁড়িয়েছে ১’শ বিলিয়ন টাকা।
এদিকে আইএমএফ বলছেন, বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি পাকিস্তানকে স্থিতিশীলতা অর্জনে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। আইএমএফ মিশন প্রধান হ্যারা- ফিঙ্গার পাকিস্তানের বর্তমান আর্থিক ঘাটতি চলতি অর্থবছরেই জিডিপির ২ দশমিক ৯ ভাগে দাঁড়াবে। যদিও পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ থেকে ৬ ভাগ হতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। তবে পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পিপলস পার্টি নেতা সালিম মান্দভিওয়ালা বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে অর্থনীতি সঠিক পথে আগাচ্ছে না। কৃষি ও উৎপাদন খাত মূল খাত হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। শুধু সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বিপদজনক। কারণ এ খাত আমদানির ওপর নির্ভরশীল। রফতানি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় হ্রাস পাচ্ছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’এর এমএনএ সাফকাত মাহমুদ বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি বলে দিচ্ছে সরকারের আদতে কোনো অর্থনৈতিক নীতি নেই।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানি, তথ্য প্রযুক্তি, বাজার ও উৎপাদিত পণ্যের বৈচিত্রকরণ করে এ ঘাটতি দূর করা হবে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে পাকিস্তানের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ২ বিলিয়ন ডলার হলেও অর্জিত হয়েছে ৬’শ মিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে রাজস্ব বা বাণিজ্য ঘাটতি উন্নয়নের পথে কোনো অন্তরায় সৃষ্টি করবে না বলে তিনি জানান। ডন