বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
একাদশ শ্রেণীতে এবার একবারই ভর্তি হওয়া যাবে। পছন্দের ১০টি কলেজের মধ্যে একটিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেটিতে ভর্তি হতে হবে। যদি পছন্দের তালিকার অন্য কলেজে ভর্তির ইচ্ছা থাকে, তবে সেই সুযোগ ক্লাস শুরু হওয়ার এক-দেড় মাস পর মাত্র একবারের জন্য মিলবে। সাধারণ মাইগ্রেশন ছাড়া কলেজ পরিবর্তন করা যাবে না। ভর্তিতে শিক্ষার্থীর অর্থ অপচয়, অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও ভোগান্তি হ্রাসে শিক্ষা বোর্ডগুলো এ পদ্ধতি চালু করতে চায়।
ভর্তি প্রক্রিয়া সামনে রেখে সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের ফোরাম ‘আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব-কমিটি’র আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান। বৈঠকে উল্লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রায় সব চেয়ারম্যানই এ প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, ‘উল্লিখিত সিদ্ধান্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের। আমরা এ নিয়ে এখন বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করব। তাদের ইতিবাচক মতামত পেলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত খসড়া আকারে অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, নতুন প্রস্তাব অনুমোদন হলে এবার একজন ছাত্র ২০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে না। এসএমএস ও অনলাইন মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করবে। এর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা অনুযায়ী পছন্দক্রমের উপরের দিক থেকে ভর্তির জন্য কলেজ বণ্টন করা হবে। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী সফটওয়্যারই কলেজ ঠিক করে দেবে। প্রথমবার পাওয়া কলেজে যদি শিক্ষার্থী পড়তে না চায় এবং পছন্দের তালিকার উপরের বা নিচের দিকের কলেজে যেতে চায়, তাহলে তাকে মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করে রাখতে হবে। সব ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ক্লাস শুরু হবে। তারও এক-দেড় মাস পর বোর্ডগুলো মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করবে। এ ক্ষেত্রে যদি কেউ মনে করে, নতুন প্রতিষ্ঠানে সে আর ভর্তি হবে না, তাহলে সে মাইগ্রেশন না করার স্বাধীনতাও পাবে।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, গত বছর দায়িত্ব নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যে আমি একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম পাই। যে কারণে শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া করতে পারিনি। গত বছর শেষের দিকে কিছুসংখ্যক ভর্তি ম্যানুয়ালি করা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, এবার শতভাগ অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম হবে। গত বছরের রেজিস্ট্রেশন কাজ এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু এবারের রেজিস্ট্রেশন কাজও বুয়েটের সার্ভারের মাধ্যমে আগেভাগেই শেষ করা হবে। যখন যে কলেজের আসন শেষ হয়ে যাবে, সেখানে ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তির বাকি নিয়মাবলী গত বছরের মতোই আছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বর্তমানে চলছে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে। গত বছর মে-জুন মাসে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ১০ জুলাই ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি প্রক্রিয়া আগস্ট মাসেও চলে। যুগান্তর