বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
দেশীয় মোটরবাইকের উৎপাদন ব্যয় ক্রমেই বাড়ছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে সিডেকি মোটরবাইকের আমদানির সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে দেশীয় মোটরবাইকের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরেও উদ্যোক্তারা দেশের বাজার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে মোটরবাইক বিদেশে রপ্তানি শুরু হলেও দেশের বাজারে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
গত কয়েক দশক ধরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোটরবাইকের ব্যবহার। ব্যবহার বাড়লেও শতকরা ৮০ ভাগ আমদানি নির্ভর মোটরবাইকের বাজার ক্রেতাদের নাগালে আসেনি।
তবে পট পরিবর্তনে ধীরে হলেও এ খাতের দেশীয় উদ্যোক্তারা বেশ শক্ত অবস্থান তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন আর স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি তৈরির পাশাপাশি সম্প্রতি শুরু হয়েছে দেশীয় মোটরবাইক রপ্তানিও। প্রাথমিকভাবে দেড় হাজার বাইক নেপালে পাঠিয়েছে বেসরকারি অটোমোবাইল কোম্পানি রানার। ভালুকায় প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় বাইকের চ্যাসিস, রিয়ার ফর্ক, ফুয়েল ট্যাংক, নানা ধরণের স্ট্যান্ডসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অধিকাংশই তৈরি হচ্ছে দেশীয় প্রকৌশলীদের হাতে।
নেপাল বলছে, ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের, সেক্ষেত্রে ধরে রাখতে হবে পণ্যের মান আর সাশ্রয়ী দাম।
নেপাল ম্যাক্সিম করপোরেশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলিপ কর্ণ বলেন, ‘নেপালের বাজারে ৮০ সিসি মোটরবাইকের একমাত্র সরবরাহকারী বাংলাদেশ। আমরা চাই সাশ্রয়ী দামে উন্নত সেবা। এটা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকবে।’
তবে রপ্তানি শুরু হলেও অভ্যন্তরীণ বাজার ধরতে এখনও বেগ পেতে হচ্ছে দেশীয় উদ্যোক্তাদের। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত নীতি সহায়তার পাশাপাশি সিকেডি মোটরবাইক আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর আহ্বান তাদের।
দেশে প্রতিবছর ৪ লাখের বেশি মোটরবাইকের চাহিদা রয়েছে। প্রথমবারের মতো রপ্তানি শুরু হওয়ায় এ খাতে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছে। সময় টিভি