বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা:খুলনার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৬শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির আওতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রাম সড়ক নির্মাণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ ও আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের রাস্তার জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় এখন থেকে একই রঙের সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে হবে এবং চর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প করার সময় এক স্থানেই তৈরি হবে। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে চরে বাড়ি-ঘর করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি জানান, ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা সড়ক ৩৪২ কিলোমিটার, ইউনিয়ন এবং গ্রাম সড়ক নির্মাণ করা হবে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮২০ মিটার সেতু এবং কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫৯ উপজেলার হাটবাজার ও গোথ সেন্টারেরও উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে ইউনিয়ন পর্যায়ের সব সদস্যকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাস্তবায়ন পারদর্শিতার ভিত্তিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অনুদান দিতে ‘স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প-৩ (এলজিএসপি-৩)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা আর বাকি ৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। দেশের চার হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে এ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে।’
মন্ত্রী জানান, একনেক সভায় প্রায় ১২ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা ব্যয়ের আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন প্রায় ৮৭৪ কোটি টাকা আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে প্রায় ২ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকার জোগান পাওয়া যাবে।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে—জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প, এর ব্যয় ৪১৮ কোটি টাকা; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ও মিরপুর সেনানিবাসের অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৪২১ কোটি টাকা; অনন্যা আবাসিক এলাকার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প, ব্যয় প্রায় ২ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা; নাটোর রোড (রুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১৪০ কোটি টাকা; প্রায় ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে বরিশাল ও সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প এবং ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে পটুয়াখালী-পায়রা ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প।