দুই বছরে ৬ খুন, আহত ২৫ > কিশোর গ্যাং স্টার

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে কিশোর অপরাধীদের কিছু কিছু গ্যাং থাকার তথ্য মিলেছে। যদিও গ্যাংয়ের সংখ্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। গ্যাংয়ের অধিকাংশ সদস্যেরই বড় ধরনের কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার রেকর্ড নেই। তবে তাদের বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়া বিচিত্র নয়। সদস্যদের অধিকাংশই অনিয়মিত ছাত্র। যাদের নব্বই শতাংশ সমাজের উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। এদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ধূমপানসহ বাজারে সহজলভ্য মাদকদ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকাশ সংস্কৃতিসহ নানা কারণে সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে কিশোরদের মধ্যেও। এছাড়া পারিবারিক বন্ধন দিন দিন শিথিল হয়ে যাওয়া, লেখাপড়ার চাপ ও ভিডিও গেমসসহ নানা কারণে আস্তে আস্তে কিশোররা হিং¯্র হয়ে উঠছে। অত্যাধুনিক ভিডিও গেমসের প্রভাবে কিশোররা মানসিকভাবে নিজেদের রোবটিক হিরো ভাবছে। তারই ধারাবাহিকতায় কিশোর অপরাধের ঘটনা ঘটছে।

গত দুই বছরে রাজধানীতে কিশোর অপরাধীদের গ্রুপগুলোর আধিপত্য ও ব্যক্তিগত আক্রোশের সূত্রধরে ছয় কিশোর খুন হয়। আহত হয় অন্তত পঁচিশ জন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি কিশোর অপরাধীদের একটি গ্রুপের হাতে ঢাকার উত্তরায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আদনান কবিরের নৃশংসভাবে খুন হওয়ার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা জন্ম দেয়। এ ঘটনায় বেশ কজন কিশোর গ্রেফতার হয়। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে স্থানীয় ডিসকো গ্রুপ ও নাইনস্টার গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রধরে হত্যাকা-টি ঘটে। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানাধীন তেজকুনি পাড়া এলাকায় খেলাঘর মাঠের পূর্বপাশে আজিজুর রহমানকে (১৬) নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার খেলারসাথী কিশোররা। এ ঘটনায় ৬ কিশোর গ্রেফতার হয়।

তেজগাঁও থানার ওসি মাযহারুল ইসলাম কাজল বলেন, হত্যাকা-ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা সরাসরি হত্যাকা-ে জড়িত। ক্রিকেট খেলাকে উছিলা করে আজিজুলকে হত্যা করে তারা। আজিজুলের ওপর হত্যাকারীরা অনেক আগ থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল। মূল কারণ এলাকায় আজিজুল গ্রেফতারকৃত তিন জনকে বড় ভাই হিসেবে তেমন মান্যগণ্য করত না। তারই প্রতিশোধ নিতে ক্রিকেট খেলার সূত্রধরে পরিকল্পিতভাবে আজিজুলকে হত্যা করা।

তিনি আরও বলেন, এক ধরনের হিরোইজম কাজ করত হত্যাকারীদের মধ্যে। অনেক আগেই তিনজন পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছে। কেউ এসএসসি পাশ করেনি। নিয়মিত তারা ধূমপান ও গাঁজা সেবন করত। মাঝে মধ্যে টাকা জমিয়ে মদের আসরও বসাত। গ্রেফতারকৃত কিশোররা একটি গ্রুপের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে গ্রুপের কোন নাম বা গ্রুপটির স্থায়ী কোন ঠিকানার সন্ধান মেলেনি।

পুলিশ সদর দফতরের গোপনীয় শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এবারের পুলিশ সপ্তাহে কিশোর অপরাধী ও তাদের গ্যাং শনাক্ত করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশের প্রতিটি শাখাকে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া আছে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কিশোর অপরাধীদের শনাক্ত করে, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত ফিরিস্তি রেকর্ড করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পৃথক ডাটাবেজ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সামাজিক অনুষ্ঠানেও পুলিশকে কিশোর অপরাধী কেন তৈরি হচ্ছে, সে সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ বরিশালে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি সব কিশোর অপরাধের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দীও রেকর্ড করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এদের বেশির ভাগই পড়াশুনার চাপে, পারিবারিক চাপে আস্তে আস্তে বিপদগামী হয়েছে। এরপর আস্তে আস্তে মাদকের দিকে ঝুঁকেছে। পর্যায়ক্রমে তারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে মূলত সামাজিক সচেতনতা জরুরী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্তাগুলো সূত্রে জানা গেছে, বহুদিন ধরেই কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যারা অপরাধী তাদের অধিকাংশই, সমাজের খুবই নিম্নশ্রেণীর মানুষের সন্তান। অভাবের তাড়নায় তারা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হতো। বিশেষ করে রাজধানীতে কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের কিশোরদের দিয়ে অস্ত্রগোলাবারুদ ও মাদক স্থ’ানান্তর করার রেকর্ড বহু পুরনো। তবে আগে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের কিশোর সন্তানরা টাকার লোভে অস্ত্রগোলাবারুদ হস্তান্তর করার কাজটি করত। এখনও এ ধারা অব্যাহত আছে। আর হালে কিশোররা নিজেরাই সংঘবদ্ধ হয়ে নানা অপরাধী গ্রুপ বা গ্যাং গঠন করছে। তারা চুরি, ছিনতাই, ছোঁ দিয়ে দামী মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগসহ বহনযোগ্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার মতো অপরাধ সংঘটিত করছে। সম্প্রতি হকার সেজে পত্রিকা বিক্রির নাম করে কিশোরদের টান দিয়ে সোনার চেন, দামী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। এসব হকারের টার্গেট সাধারণত প্রাইভেটকার। কারণ উচ্চতার কারণে জীপ থেকে তারা কোন কিছু ছিনিয়ে নিতে পারে না। পত্রিকা বিক্রির কথা বলে যেসব প্রাইভেটকারের জানালা খোলা থাকে, সেই গাড়ির কাছে যায়। এরপর সুযোগ বুঝে আচমকা টান দিয়ে সোনার চেন, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য দামী বহনযোগ্য জিনিস নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ধরনের হকারদের মধ্যে সাধারণত কম দামের পত্রিকা বিক্রির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যেসব কিশোর অপরাধ করতে পারে, তাদের বাহ্যিক চালচলনসহ নানা বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া গেছে। রাজধানীর প্রতিটি পাড়া মহল্লাতেই কমবেশি এ ধরনের কিশোর রয়েছে। তবে ঢাকার অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরা, ধানম-ি, বনানী ও গুলশানে এ ধরনের কিশোরদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। যাদের অধিকাংশই চৌদ্দ থেকে ষোল বছর বয়সী। এদের সঙ্গে সদ্য যৌবনে পা রাখা অনেকেই রয়েছে। যদিও তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। এসব যুবক গ্যাংগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

কিশোর ও যুবকদের চলাচলের প্রধান বাহন বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও স্কেটিং সু। তাদের মধ্যে বাহারী বাইসাইকেল ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া মোটরসাইকেল যারা চালাচ্ছে, বেশির ভাগ মোটরসাইকেলের ধোঁয়া নির্গমনের জন্য থাকা সাইল্যান্সেসার পাইপ আলাদাভাবে লাগানো। যা উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে। রাস্তা দিয়ে গেলে তাদের দিকে না তাকিয়ে উপায় নেই। এক ধরনের হিরোইজম থেকে তারা এটি করে থাকে। যাতে সবাই তাদের দেখে। মূলত কিশোরীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তারা এ কাজটি করে থাকে। এদের প্রায় শতভাগই স্থানীয়। কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গে নিজেদের বাড়িতে, আবার কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গে কেনা আলিশান ফ্ল্যাটে বসবাস করে। অধিকাংশই সমাজের উ”চবিত্ত পরিবারের সন্তান। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের সংখ্যা কম।

এদের অনেকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নানা অজানা কাহিনী। অনেকেরই পিতামাতা সরকারী বা বেসরকারী প্রদস্থ কর্মকর্তা। আবার অনেকের পরিবার ব্যবসায়ী। কারও কারও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই বিভিন্ন প্রবাসী। কারও কারও পরিবারের প্রায় সবাই বিদেশে থাকেন। পিতামাতা বা দু’একজন ভাই কি বোন দেশে থাকেন। তারাও বিদেশ চলে যাবেন।

এদের মধ্যে অন্তত ৯০ ভাগ কিশোর ও যুবক ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র। তাদের দাবি, ইংরেজী মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস থাকে না। বাসায় পড়ারও তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু সময়মতো পরীক্ষা দিলেই হলে। যদিও পরীক্ষায় ভাল ফল। বাসায় বসেই অনলাইনে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। এদের প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন। তাদের ফোনে ইন্টারনেট সংযুক্ত করা আছে। পরিবারের সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে বের হওয়ার প্রধান মাধ্যম টিউটরের কাছে পড়তে যাওয়া। অনেক পিতামাতা ছেলেকে বাসায় গৃহশিক্ষক দিয়ে পড়াতে চাইলেও এ ধরনের ছেলেরা পড়তে চায় না। তারা পিতামাতাকে ভুল বুঝায়। বলে, স্যার একা কাউকে বাসায় গিয়ে পড়াবে না। এ ক্ষেত্রে ছাত্র নিজ থেকেই পড়ানো বাবদ বিরাট অঙ্কের একটি টাকার ফিরিস্তি পিতামাতার কাছে তুলে ধরে। অনেক সময় মধ্যবিত্ত পরিবারের পিতামাতা ছেলের আবদারের মুখে এবং টাকার কথা চিন্তা করে ছেলেকে ব্যাচে পড়তে পাঠায়। এমন সুযোগটিকে কাজে লাগায় তারা।

এদের অধিকাংশই ধূমপায়ী। কেউ কেউ মাঝে মধ্যেই গাঁজা সেবন করে থাকে। এছাড়া এসব কিশোরের মধ্যে নেশার ট্যাবলেট সেবন করার প্রবণতা বেশি। এর প্রধান কারণ, নেশার ট্যাবলেট গন্ধহীন। চোখে ঘুম ঘুম ভাব থাকলে, কোন সময় পিতামাতা জিজ্ঞাসা করলেও সঠিক উত্তর পায় না। বলে, রাতে ভাল করে ঘুম হয়নি। তারা দলবেঁধে পাড়ার এখানে সেখানে বসে থাকে। আস্তে আস্তে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এদের নানাভাবে বিপথগামী করে কিছু যুবক। তারা নানা ফায়দা নিতে এসব কিশোদের হাতে রাখে। কিশোরদের মধ্যে যাদের পিতামাতা বা পরিবারের কেউ সমাজের ক্ষমতাবান, তারা বিশেষ মর্যাদা পেয়ে থাকে। নানা অপরাধমূলক কর্মকা- নির্বিঘেœ করতেই পাড়া মহল্লার কিছু লোক এসব কিশোদের বিপথগামী করে তুলে। আস্তে আস্তে মাদক, এরপর হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দেয়। কোন কোন সময় দু’একবার গুলি চালানোর সুযোগও দেয়। আরই তখনই হিরো হওয়ার নেশা তাদের পেয়ে বসে। এমন সুযোগটিকে পুরোপুরি কাজে লাগায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকা পাড়ামহল্লার যুবকরা।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিশোর অপরাধী ও তাদের গ্যাংগুলো শনাক্ত করার কাজ চলছে। যেসব কিশোর অপরাধের দিকে ধাবিত হ”েছ, তাদের বিষয়ে পরিবারকে সজাগ থাকার কথা বলেন তিনি। সন্তান যদি সঠিক পথে না আসে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার পরামর্শ দেন তিনি। অন্যথায় ওই কিশোর সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা না হলে ওই কিশোর দ্বারা বড় ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়াও বিচিত্র নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলছেন, সামাজিক অবক্ষয়, পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব, আকাশ সংস্কৃতি, মাদক, লেখাপড়ার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতাসহ নানা কারণে শিশু-কিশোররা বিপথগামী হচ্ছে। যাদের অনেকেই আবার জড়িয়ে পড়ছে মাদকে। মাদক থেকে তারা আস্তে আস্তে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

শিশু-কিশোরদের বিপথগামী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ তাদের মানসিক বিকাশ ঘটার যথেষ্ট সুযোগ না থাকা। একমাত্র টেলিভিশন আর ডিভিও গেমসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে একজন কিশোর বা শিশুর অধিকাংশ সময়। খেলাধুলাসহ সৃষ্টিশীল কাজ করার তেমন কোন সুযোগ পাচ্ছে না শহরের শিশু-কিশোররা। ফলে তারা আস্তে আস্তে ঘরের মধ্যেই পৃথিবী খুঁজে নিচ্ছে। বাইরের জগত সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট বা বাস্তব তেমন কোন ধারণাই জন্মাচ্ছে না। শিশু-কিশোরদের জন্য সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি যেসব কিশোর অপরাধের ঘটনা ঘটছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় শিশু-কিশোররা আরও বেশি হারে বিপথগামী হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাবে। জনকণ্ঠ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫