স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা : একাত্তরের কুখ্যাত নরঘাতক, চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের গণহত্যাকারী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। কাল সকাল ৮টা থেকে মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় বহালের দাবিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
সোমবার (৭ মার্চ) গণজাগরণ মঞ্চ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘সকাল ৮টা থেকে আমরা প্রজন্ম চত্বরে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকব ও যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে দাবি আদায় করে নেব।’
গণজাগরণ মঞ্চ ‘মীর কাসেমকে রক্ষার সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার দাবিতে সমাবেশ, গণ-অবস্থান, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে রাজপথে ছিল গণজাগরণ মঞ্চ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়া মীর কাসেমের আপিল বিভাগে চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে নানারকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়। একজন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মীর কাসেমের মামলা লড়েন। এ ছাড়াও বারবার ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হয় নানা মহল থেকে।
‘ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্টসহ জামায়াতের বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক এই বিত্তবান যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর থেকে এই মীর কাসেম মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিচারপ্রক্রিয়া বানচাল করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে বারবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসহ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কুখ্যাত ঘাতক বাহিনী আলবদরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমান্ডার ছিলেন মীর কাসেম আলী।
যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ১৯৭৭ সালে নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্রশিবির হিসেবে আবির্ভূত হন, এই ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর পুনরুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মীর কাসেম আলী।